পুলিশের তলব এড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও থানায় হাজিরা দেওয়ার হাত থেকে রেহাই পেলেন না চাকরিহারা দুই 'যোগ্য' শিক্ষক। এঁরা হলেন সুদীপ কোনার এবং ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে (২০২৫) বিকাশ ভবনের সামনে ধুন্ধুমার বেধে যায়। সেই ঘটনায় পরবর্তীতে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশ-সহ অন্যান্য সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, হেনস্থা, কটূক্তি, হামলা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ ওঠে আন্দলনকারীদের একংশের বিরুদ্ধে। তার জেরে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে বিধাননগর উত্তর থানায় ডেকে পাঠানো হয়।
এই তলিকায় সুদীপ ও বিশ্বজিৎও ছিলেন। কিন্তু, তাঁরা থানায় হাজিরা দেওয়ার বদলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা রুজু করেন। জানান, ওই দিন তৃণমূলের সমর্থকরাই অবস্থানস্থলে অশান্তি পাকিয়েছিল। পুলিশ তাঁদের কিছু না বলে উলটে আন্দোলনকারীদেরই তলব করছে।
একথা শুনে বিচারপতি ঘোষ বলেন, পুলিশ যখন তলব করেছেন, তখন তাঁদের থানায় গিয়ে হাজিরা দিতেই হবে। এবং পুলিশের তদন্তে সবরকম সহযোগিতাও করতে হবে। তবে, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না।
একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিকাশ ভবনের সামনে প্রায় দেড় হাজার আন্দোলনকারী বসে রয়েছেন। এতে সাধারণ জনজীবন, যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এটাও এভাবে চালিয়ে যাওয়া যাবে না। এত লোকের জমায়েত করতে হলে আন্দোলনকারীদের অন্য জায়গা বেছে নিতে হবে। আজ (বুধবার - ২১ মে, ২০২৫) একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামিকাল (বৃহস্পতিবার - ২২ মে, ২০২৫)। ওই দিনই আন্দোলনকারীদের আদালতে জানাতে হবে, তাঁরা বিকল্প কোন জায়গায় অবস্থান করতে চান। আদালত সেটা শোনার পর নিজের অবস্থান ও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।