‘ওরা আতঙ্কিত, ওদের দোষ দেওয়া যায় না।’ পাকিস্তান সফর থেকে নাহিদের সরে দাঁড়ানো নিয়ে মুখ খুলল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এই বিষয় নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানা পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়ানো তিন সদস্যের মধ্যে একজন। আগামী সপ্তাহে লাহোরের ঐতিহাসিক গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হবে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান, নাহিদের সরে আসার এই সিদ্ধান্তের পিছনের কারণ হতে পারে সম্প্রতি পাকিস্তান ত্যাগ করার সময় তার ভোগান্তি। যা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার জেরে সৃষ্টি হয়েছিল।
নাহিদ পেশোয়ার জালমির দলে ছিলেন যখন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) থেকে বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার জাতীয় দলের সতীর্থ রিশাদ হোসেনও জালমির দলে ছিলেন, তবে তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন … সূর্যের ৭৩ রান, বুমরাহ-স্যান্টনারের দুরন্ত বোলিং, DC-কে ৫৯ রানে হারিয়ে IPL 2025-এর প্লে-অফে উঠল MI
ফাহিম বলেন, বেশিরভাগ খেলোয়াড় শুরুতে পাকিস্তান সফর নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন, কিন্তু পরে বেশিরভাগ ক্রিকেটার সফরে সম্মত হলে বাকিরাও রাজি হন। ফাহিম বলেন, ক্রিকইনফোকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘নাহিদ রানা এবং রিশাদ হোসেন সম্প্রতি যা পার করেছে, তাদের আতঙ্কিত হওয়ার জন্য দোষ দেওয়া যায় না। সম্ভবত এই কারণেই রানা সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। কোচিং স্টাফের মধ্যে আমাদের ফিল্ডিং কোচ জেমস (প্যামেন্ট) ও ট্রেনার নাথান (কিলি) যাচ্ছেন না। বাকিরা সকলেই সফরে যেতে প্রস্তুত হয়েছেন।’
বিসিবি-র ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম আরও বলেন, ‘কিছু খেলোয়াড় দ্বিধায় ছিলেন। কিন্তু পরে তারা দেখল অন্যরাও যাচ্ছেন, তাই তারা ভাবল হয়তো খুব কঠিন কিছু নয় এবং তাদের আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল।’
ফাহিম বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় পাকিস্তানে কতটা নিরাপত্তা দেওয়া হয় তা দেখেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়। পিসিবি চেয়ারম্যান (মহসিন নাকভি) আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন … কখনও ভারতীয় দলকে হালকাভাবে নেবেন না… কোহলি-রোহিত বিহীন টিম ইন্ডিয়াকেই ভয় পাচ্ছেন বেন স্টোকস!
বাংলাদেশের এই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থাকবে, যা আগে নির্ধারিত পাঁচটি থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে। সিরিজ শুরু হবে ২৮ মে, দ্বিতীয় ম্যাচ ৩০ মে এবং শেষটি ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে।