হিন্দমোটরের জমি মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোটের। শীর্ষ আদালতের রায়ের ফলে স্বস্তি পেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উল্লেখ্য, উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মোটরের ৩৯৫ একর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল বলে ২০২২ সালে তা অধিগ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এরপর শুরু হয় এই জমি নিয়ে মামলা। রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল হিন্দমোটর। প্রথমে মামলা হয়েছিল ল্যান্ড ট্রাইবুনালে। পরে ক্রমেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এই আবহে গতকাল শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করে কোনও ভুল করেনি। (আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন কি দ্বিতীয় স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে বাধ্য স্বামী?)
আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝে সত্যজিতের পূর্বপুরুষের বাড়ি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত ইউনুস সরকারের
একসময় হিন্দমোটরের এই জমিতেই তৈরি হত অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। তবে বেশ কয়েক বছর আগে সেই গাড়ি তৈরি বন্ধ করে দেয় হিন্দমোটর। এই আবহে অ্যাম্বাসাডর কারখানার ৩৯৫ একর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। এই আবহে ২০২২ সালে রাজ্য সেই জমি অধিগ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ২০২২ সালে হিন্দমোটরের তরফে ল্যান্ড ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়। ল্যান্ড ট্রাইবুনাল অবশ্য রায় দেয় রাজ্যের পক্ষে। এরপর মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেও জেতে রাজ্য। আর তারপর শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল হিন্দমোটর। সেখানেও রাজ্যের পক্ষে রায় দেওয়া হল। (আরও পড়ুন: ধর্মান্তকরণ চক্রে অভিযুক্ত ছাঙ্গুর বাবার ডেরায় এবার ইডি, একযোগে ৭ জায়গায় তল্লাশি)
রিপোর্ট অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ও রাকেশ দ্বিবেদী। হিন্দমোটরের পক্ষে সওয়াল করেন শ্যাম দেওয়ান। আদালতকে জানানো হয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল এস্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যাক্ট সেকশন ৬(৩) অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য। ওই আইনে বলা আছে, কোনও সংস্থা শিল্প গড়বে বলে জমি নেওয়ার পর যদি শিল্প না করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে, তাহলে তা অধিগ্রহণের ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রাজ্যের পক্ষে রায় দিয়েছিল। আর সুপ্রিম কোর্ট বলে, যে যুক্তিতে হাইকোর্টের রাজ্যের পক্ষে রায় দিয়েছে, তাতে গলদ নেই। এই আবহে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।