মহিলার স্নানদৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ তুলে কিশোরকে মারধর। অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।নিহত নাজমুল হোসেন পুরাতন গঙ্গামাপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, প্রতিবেশী এক মহিলার স্নান করার ছবি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করছিল সে। তা দেখে ফেলেন মহিলার ছেলে। এর পর কিশোরের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর শুরু হয়। মোবাইল ফোনটি আর ফেরত দেওয়া হয়নি তাকে। বাড়ি ফিরে আসে কিশোর। পরে তার মা মোবাইল ফোনটি ফেরত চাইতে গেলে তাঁকেও অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। এর পরই প্রতিবেশী পরিবারটির ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।মৃতের পরিবারের দাবি, একতরফা অভিযোগ তুলে ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। ও কারও কোনও ভিডিয়ো তুলেছে কি না তা প্রমাণিত নয়। তেমন হলে মোবাইল ফোন আটক করে আমাদের জানাতে পারত। কিন্তু মারধর করল কেন? মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মারধর করাতেই নাজমুল আত্মঘাতী হয়েছে। আমরা বিচার চাই।খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওদিকে অভিযোগ দায়ের হতেই বেপাত্তা অভিযুক্তরা।