রবিবারের সংঘর্ষের পর সোমবার সকাল থেকে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল হুগলির খানাকুল। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে এদিন সকাল থেকেই জনজীবনে পড়েছে বড় প্রভাব। রাস্তায় দেখা গিয়েছে গাছ ফেলে রাখা হয়েছে, যার জেরে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। দোকানপাটও বহু জায়গায় বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি পরিবহণ ক্ষেত্রেও বনধের প্রভাব পড়েছে। খানাকুল থেকে আরামবাগের মধ্যে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সীমান্ত পর্যন্ত কিছু বাস চালু ছিল।বিজেপির অভিযোগ, রবিবার শাসক দলের হামলায় খানাকুলের একাধিক কার্যালয় ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিন্দু উৎসবের দিন মিছিল ঘিরে বিতর্ক, শুভেন্দুকে তৃণমূলের কটাক্ষ ‘ভেজাল হিন্দু’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘বর্বরতার রাজনীতি’র অভিযোগ তুলে এদিন সকাল থেকে রাস্তায় নামে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, বনধের ডাক থাকলেও বহু দোকান, যেগুলি তৃণমূল সমর্থকদের, সেগুলিও খোলা হয়নি। ফলে কার্যত গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে থাকে।অন্যদিকে, বনধ ভাঙতে এদিন পথে নামার প্রস্তুতি নেয় তৃণমূলও। শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি আসলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পরিবেশ অশান্ত করছে। তাদের পাল্টা আন্দোলনকেও সামনে আনতে চেষ্টা হয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ নামিয়েছে কড়া নিরাপত্তা। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে টহলদারি বাহিনী। রবিবারের সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। ফলে সোমবার সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার খানাকুলে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের পর বিজেপি ঘোষণা করেছিল এই বনধের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই কর্মসূচির সমর্থন জানান। যদিও তিনি নিজে কলকাতায় অন্য একটি অনুষ্ঠানে থাকার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে শীঘ্রই এলাকায় গিয়ে থানাঘেরাও কর্মসূচি করবেন বলেও ঘোষণা করেছেন। সব মিলিয়ে, সোমবার সকাল থেকে খানাকুল কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বিজেপির বনধে স্তব্ধ জনজীবন, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরোপুরি তৎপর প্রশাসন।