বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Sheikh Shahjahan Arrest Latest Update: সন্দেশখালিবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হননি শেখ শাহজাহান, জানালেন ADG
পরবর্তী খবর
Sheikh Shahjahan Arrest Latest Update: সন্দেশখালিবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হননি শেখ শাহজাহান, জানালেন ADG
সন্দেশখালিবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কর্তা জানান, এই সব অভিযোগ ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখের পর থেকে পেয়েছি আমরা। এই সব ঘটনা ২ থেকে ৩ বছর আগে ঘটেছে। সেগুলির তদন্ত করে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে সময় লাগবে।
এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার
গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। তবে কোন মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার আজ জানিয়ে দিলেন, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার মামলাতেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে সন্দেশখালিবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কর্তা জানান, এই সব অভিযোগ ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখের পর থেকে পেয়েছি আমরা। এই সব ঘটনা ২ থেকে ৩ বছর আগে ঘটেছে। সেগুলির তদন্ত করে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে সময় লাগবে। (আরও পড়ুন: 'ভারতীয়ই নন', ট্রেকারের হেল্পার থেকে 'সন্দেশখালির বাঘ', কে এই শেখ শাহজাহান?)
আজ সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রতিম সরকার জানান, মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহানকে। তবে এতদিন শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, এই প্রশ্নের জবাব 'তদন্তের স্বার্থে' দিতে চাননি এডিজি। এই বিষয়ে আদালতকেই সব জানানো হবে বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে তিনি আজ ইডিকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সুপ্রমিতবাবু বলেন, 'শাহজাহানকে গ্রেফতারে আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর গত রাতে মিনাখাঁ থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আর রাজ্য পুলিশের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইডি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে উদ্যোগী হল না কেন?'
উল্লেখ্য, বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছিল। তবে এতদিন তিনি অধরা ছিলেন। এরই মাঝে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সন্দেশখালি। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে সন্ত্রাসের রাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুমকি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অজিত মাইতিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শাহজাহান এতদিন অধরা ছিল।