উত্তরবঙ্গ বনধ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলিগুড়ি। হাতাহাতিতে জড়াল বিজেপির যুবমোর্চা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স, পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।উত্তরকন্যা অভিযানে এক কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তা নিয়ে সকাল থেকে শিলিগুড়িতে নেমেছে বিজেপি। তেতে রয়েছে শহরের একাংশ। আটকও করা হয়েছে অনেককে। পরে বেলা ১২ টা নাগাদ বনধের সমর্থন এবং বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের মৃত্যুতে শাস্তির দাবিতে শিলিগুড়িতে মহাত্মা গান্ধী রোড অবরোধ করে বিজেপির যুবমোর্চা। জ্বালানো হয় টায়ার। মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে যুবমোর্চার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের ন্যূনতম পরিচয় দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ফ্লেক্স পোড়ানোর সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।তারইমধ্যে শিলিগুড়ি বাস টার্মিনাস থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারগামী বিভিন্ন বাস আটকানো হয়। পর্যটকদের গাড়িও আটকে দেন যুবমোর্চার কর্মী-সমর্থকরা। সেই আটকে পড়া বাস এবং গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যা ক্রমশ হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে সেই একই জায়গায় তৃণমূলের তরফেও বিজেপির ফ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়ে বলে অভিযোগ।যুবমোর্চার অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের তাড়া করে মারধর করেছে তৃণমূল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তাদের পালটা দাবি, হাতাহাতি শুরু করেছে যুবমোর্চা। পরে অবশ্য পুলিশ এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।