আত্রেয়ী নদী দিয়ে ফের শুরু হয়েছিল অবৈধ বালিচুরি। তবে এবার চমকে দেওয়ার মতো কৌশল নিয়েছিল বালি মাফিয়ারা। বাঁধ কেটে নদীর মধ্যেই তৈরি করছিল রাস্তা! আর সেই কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল সিমেন্টের রিং। বড়সড় অভিযান চালিয়ে সেই পরিকল্পনা বানচাল করল ভূমি দফতর ও পুলিশ প্রশাসন। (আরও পড়ুন: ট্রেনে সংরক্ষিত আসনের টিকিট কাটার নিয়মে বড় বদল, কী জানাল রেল?)
আরও পড়ুন: দামোদরের চর থেকে বালি তুলে পাচার, পুলিশ যেতেই ‘হামলা’; আহত হোমগার্ড, ২ সিভিক
ঘটনা বালুরঘাট ব্লকের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপুর এলাকার। জানা যাচ্ছে, নদীর তীরে সারি সারি সিমেন্টের রিং বসিয়ে নদীবক্ষে ছোট সেতুর মতো রাস্তা তৈরি করছিল বালি মাফিয়ারা। লক্ষ্য ছিল ট্রাক্টর ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি সহজে নদীতে নামিয়ে দ্রুত বালি তোলা। সেই খবর পৌঁছায় বিএলআরও রণেন্দ্রনাথ মণ্ডলের কাছে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ভূমি দফতর ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে অভিযান চালান। তবে তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়েই পালায় মাফিয়ারা। যদিও ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে প্রচুর সিমেন্টের রিং। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং নদীর মাঝখানে যে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল, তা ভেঙে দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: ইউনুস প্রশাসনে ভরসা নেই? বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর বড় বয়ানে উঠল প্রশ্ন)
আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় সুইস ব্যাঙ্কে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণ!
ভূমি দফতর সূত্রে খবর, ৫০ জনের মতো শ্রমিক ওই নির্মাণ কাজ করছিল। ব্যবহার করা হচ্ছিল আর্থমুভার মেশিনও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষকের কথায়, কয়েক মাস আগে নদীর গতিপথ আটকে দেওয়ায় সেচের জল পাওয়া যায়নি। এবার সিমেন্টের রিং বসিয়ে সেতু তৈরির চেষ্টা চলছিল। বাধা দিলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাই চুপ থাকতে হয়েছে। এই ঘটনার পর ভূমি সংস্কার দফতর পতিরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। কে বা কারা এই কাজে যুক্ত ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। (আরও পড়ুন: ভারত সীমান্ত নিয়ে বড় বার্তা বাংলাদেশ সেনার,শোনা গিয়েছিল সংঘাতের ষড়যন্ত্রের কথা)
বালুরঘাটের ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ জানান, নদীর ভিতরে সিমেন্টের রিং বসিয়ে রাস্তা তৈরির বিষয়টি অতি গম্ভীর। এনিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, নদীতে জল বাড়ার ফলে ট্রাক্টর নামাতে অসুবিধা হচ্ছিল মাফিয়াদের। তাই হরিহরপুরে বাঁধ কেটে সিমেন্টের রিং বসিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে তারা। কিন্তু প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে সেই অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, আত্রেয়ী নদী ঘিরে অবৈধ বালিচুরি কোনও নতুন বিষয় নয়। কিন্তু এভাবে রাস্তা বানিয়ে নদী থেকে বালি লুটের চেষ্টা সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতি বলেই দাবি প্রশাসনের।