ভোটের দিন ময়দানে দেখা যায়নি তাঁকে। গভীর রাতে একটা বিবৃতি দিয়েই দায় সেরেছেন ভাঙড়ের লড়াকু বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। আর পর থেকেই শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। তবে কি তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং হয়ে গিয়েছে নওসাদের? জবাবে নওসাদ বললেন, বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারব না।
আরও পড়ুন - ছাপ্পার অভিযোগ প্রতিকুরের, ডায়মন্ড হারবার নিয়ে শুভেন্দুর দাবি আরও ভয়ানক
পড়তে থাকুন - মুসলিমরা তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেই TMCর ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মৃত্যু হয়: অমিত মালব্য
শনিবার শেষ দফায় যাদবপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে ছিল ভোটগ্রহণ। সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই সেখানে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। পড়ে বোমা। দিনভর কখনও ISF কখনও তৃণমূল কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন। মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ISF কর্মীদের। বহু জায়গায় তাদের ভোট দিতে যেতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। কিন্তু সারা দিন ভাঙড়মুখো হননি নওসাদ।
চলতি লোকসভা ভোটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করার ঘোষণা করেও পরে পিছিয়ে আসেন নওসাদ। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শনিবার ভাঙড়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে সেই জল্পনা আরও জোর পায়। নওসাদের নিষ্ক্রিয়তায় বাম নেতাদের মুখেও অসন্তোষ শোনা যায়। গুঞ্জন ছড়ায় লোকসভা ভোট মিটলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সমর্থন ঘোষণা করতে চলেছেন নওসাদ। তার বিনিময়ে মন্ত্রিত্ব পাবেন তিনি।
আরও পড়ুন - ৩০ দূর অস্ত, বাংলায় কত আসন পেতে পারে বিজেপি, ভোট শেষ হতেই ফাঁস করলেন খোদ সুকান্ত
রবিবার এব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নওসাদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমাকে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল তখন আমার সঙ্গে বিজেপির সেটিং হয়েছে বলে ছড়িয়েছিল। এখন আবার বলছে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং হয়েছে। মানুষ এসব খাবে না। সেটিং করার ইচ্ছা থাকলে ৪০ দিন জেল খাটতাম না আমি। ভাঙড়ে ভোট আগের থেকে অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমি ওই কেন্দ্রের ভোটার নই তাই সেখানে গেলে পুলিশ আটকাতে পারত। সেজন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে ভোটের ওপর নজর রেখেছি। আমাদের কর্মীরা এত দুর্বল নন যে কথায় কথায় ভাইজানকে তাদের লাগবে।’