লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে শনিবার। তার পর প্রথম রবিবার সকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিনেত্রী প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে পান্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড় কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে তিনি প্রচারের কাজ শুরু করেন।এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ সিমলাগড় কালি মন্দিরের পৌঁছন রচনা। সেখানে ছিলেন পান্ডুয়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ, তৃণমূল হুগলি জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই,ধনিয়াখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র সহ জেলা নেতৃত্ব। সেখানে পুজো দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সকলের সঙ্গে সেল্ফি নেন।এরপর সেখান থেকে হুডখোলা গাড়িতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আর্ত্তি গ্রামে সাধারণ মহিলা ও মানুষজনের সঙ্গে জনসংযোগ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রচনা বলেন, 'দারুন সাড়া পাচ্ছি। আমি অভিভূত এবং ভাবতে পারিনি হুগলির মানুষ আমাকে এমন ভাবে শুভেচ্ছা জানাবেন। যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষ ভালবাসা আশীর্বাদ পাচ্ছি। আগামীদিনে যেন তাদের পাশে থাকতে পারি,সেটাই আমার মূল লক্ষ।'বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি ওনার কাজ করুন, আমি আমার কাজ করব।' হুগলি লোকসভা কি পুনরুদ্ধার করার যাবে? সে প্রসঙ্গে রচনা বলেন, 'আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। হুগলির মানুষের উপর ভরসা আছে দিদির উপর ভরসা আছে আমরা জিতবো। লকেটের সঙ্গে দেখা হলে ওনাকেও নমস্কার করবো। এখন সবাইকেই যেমন করছি নমস্কার করছি।'একশ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি, দিদি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার দেব দেব করেও দিয়ে উঠতে পারেনি। সবই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করছেন, তিনি প্রতিনিয়ত আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছেন। তাই দিদির পাশে থাকতে হবে। মানুষকে এখন বোকা বানানো সহজ নয়।'হুগলিতে বিজেপির বিজেপির পোস্টার পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বিরোধীপক্ষ নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। আমি আমার দলের জন্য এসেছি আমার দলকে যে জেতাবো। বিরোধীপক্ষ কি করছে কাকে গালিগালাজ করছে তা দেখার সময় আমার নেই।'রাজনীতিতে নবাগতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'লকেট চট্টোপাধ্যায়ও একদিন রাজনীতিতে নতুন ছিলেন এবং তাকেও প্রার্থী করে বিজয়ী করা হয়েছে। আমি নতুন নই আমি মানুষের ভালবাসা নিয়ে এসেছি। আজ হয়তো রাজনীতিতে এসেছি, সেই ভালবাসার রেশ নিয়ে সকলের মন জয় করতে পারব।হুগলির যে নেতা রয়েছে তারা আমার পাশে রয়েছে। হুগলির মাটি একদম ছাড়ছি না।'