কারোর বয়স ৫৫, কারোর ৫২ তো কারোর আবার ৫৯; কর্জীবনের কয়েকটি বসন্ত আর বাকি তাঁদের জীবনে। এরকমই ১১ জন শিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ১৯৯৬ সালে চাকরি পাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শিক্ষক হতে পারলেন ২০২১ সালে এসে। এর মাঝের ২৫ বছর কেটেছে আদালত আর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের দরজায় দরজায়। নবনিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যেই রয়েছেন ৫৯ বছর বয়সী মেনকা মুন্ডাও। যদি পুজোর পরে খোলে তবে আগামী নয় মা পড়ুয়াদের পড়ানোর সুযোগ পাবেন তিনি। গতকাল মেনকাদেবীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। মেনকাদেবীকে মিষ্টিও খাওয়ান তিনি। মেনকা মুন্ডা ছাড়াও চাকরিপত্র হাতে পেয়ে আপ্লুত অশোক কুমার বেরা, অশোক কুমার গড়াই, বিমল হারা, নিত্যানন্দ দোলই, বলরাম বসন্তরা।জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, ১৯৯৬ সালের প্যানেলে সংরক্ষিতদের তালিকায় নাম ছিল এই ১১ চাকরিপ্রার্থীর। তবে তত্কালীন বামফ্রন্ট সরকার তাঁদের নিয়োগ না করে সাধারণ ক্যাটাগরির ১১ জন অতিরিক্তকে নিয়োগপত্র দেয়। এর জেরে বঞ্চিত থেকে যান এই ১১ জন। এরপর কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই মামলা চলে। ২০১৭ সালে এই মামলার রায় বের হলেও আইনি জটিলতার অজুহাত তুলে গড়িমসি করা হয়। তবে ১৫ ১৫ দিন হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব ৪২ বছর বয়সী কৃষ্ণেন্দু বিষই। মিষ্টিমুখ করিয়ে তিনি ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটান এই ১১ শিক্ষকের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চাকরিতে যোগ দিতে চলেছেন এই ১১ চাকরিপ্রার্থী।চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, নতুন চেয়ারম্যান কোনও গড়িমসি করেননি। উদ্যোগী হয়ে ফাইল খুঁজে বের করিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন কৃষ্ণেন্দু। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এরকম চেয়ারম্যান যদি আগে আসতেন, তাহলে ২৫ বছর নষ্ট করতে হত না তাঁদের।