বিজেপির নবান্ন অভিযানে তাণ্ডব এবং পুলিশকে মারধর থেকে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখেছিল মহানগরী। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ কর্মীর উপর প্রাণঘাতী হামলা, বোমাবাজি এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু ‘ফেরার’ ছিল মূল অভিযুক্ত৷ অবশেষে সেই প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক থেকে৷ ফলে বিজেপির পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসেছে তাঁদের আর কোনও যৌক্তিকতা থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে।বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুবককে খুঁজছিল পুলিশ। কিন্তু সে ঘটনার দিন থেকে গা–ঢাকা দিয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এবার ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের উপর হামলার নেপথ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ‘মাস্টার মাইন্ড’৷ তা না হলে কেন মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দেবে? যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শুভেন্দুর খাসতালুক থেকে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় নতুন করে তপ্ত হচ্ছে কাঁথির রাজনৈতিক বাতাবরণ। কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতারের কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় তল্লাশি চলছে। আর তাতেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এগরা থানার পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম রাজকুমার মাইতি। কলকাতার বাসিন্দা ওই যুবক আত্মীয়ের বাড়িতে গা–ঢাকা নিয়েছিলেন। তিনি কলকাতার দমদম এলাকার বাসিন্দা। ধৃত যুবক বিজেপির সক্রিয় কর্মী৷আর কী জানা যাচ্ছে? এগরা থানার আইসি মৌসুম চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপর হামলা ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত যুবক এগরায় লুকিয়ে ছিল৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃতকে গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷’ কেন বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে এই ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এবার এই রিপোর্টও জমা দেওয়া হবে।