রুপশ্রী আবেদন করতে গিয়ে জন্ম শংসাপত্র জাল করার অভিযোগ উঠল। রূপশ্রীর আবেদনের জন্য নির্ধারিত বয়সের থেকে হবু জামাইয়ের বয়স কম হওয়ায় জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরির পথ বেছে নিয়েছিলেন পাত্রীর বাবা-মা। সেই অভিযোগে ওই দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে। কোতোয়ালি থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: রূপশ্রীতে দুর্নীতি, একই যুবতীর একাধিক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা, ফেরত চাইল সরকার
রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদনের জন্য জাল নথি জমা দেওয়ার অভিযোগ অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় এই প্রকল্পের আবেদনের জন্য জাল নথি জমা দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, শনিবার জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার হওয়া পাত্রীর বাবা-মা জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া পঞ্চায়েতের সুকান্তনগর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। তার ভিত্তিতে আদালত ধৃতদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের অনুমান, জাল শংসাপত্র তৈরির সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার জন্যই ধৃতদের পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জেরা করে সেই তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সাধারণত রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে গেলে তাতে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাত্রীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পাত্রের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর হতে হবে। কিন্তু, জলপাইগুড়ির এই ঘটনায় পাত্রের বয়স ২১ বছরের কম ছিল। তাই হবু জামাইয়ের বয়স বাড়াতে তাঁর জন্ম শংসাপত্র পাত্রীর বাবা-মা জাল করেন বলে অভিযোগ। এরপর টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, সেই নথি দেখেই সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। এরপরেই পাত্রীর বাবা মায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাত্র কোচবিহারের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে পাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়। পাত্রের বয়স একুশ বছর দেখাতে তাঁর নামে জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরি করে পাত্রীর পরিবার। জলপাইগুড়ি পুরসভার নামে ওই শংসাপত্র তৈরি করা হয় বলে জানা যায়। বিডিও জানান, ওই জন্ম শংসাপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই শংসাপত্র ইস্যু করা হয়নি। তারপরেই পাত্রীর পরিবারকে জেরা জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।