আবারও কোচবিহারে আলোচনার কেন্দ্রে এনআরসি। এবার সরাসরি ফরেন ট্রাইবুনাল থেকে চিঠি এসে পৌঁছাল এক গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের ঠিকানায়। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাথাভাঙা-১ ব্লকের হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।চিঠিতে ২০১৫ সালে দেওয়া একটি ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ সার্টিফিকেটের ভেরিফিকেশন চাওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁপছে নিজেদের হাঁটু, এর মাঝে পূর্ব ভারতে হামলার হুমকি পাকিস্তানি সেনার)
আরও পড়ুন: এবার এনআরসি নোটিস পেলেন কোচবিহারের মহিলা, হাজিরার নির্দেশ অসমের ধুবড়িতে
অভিযোগ, ওই বছর অসম থেকে আসা এক মহিলাকে কোচবিহারে বসবাসের ভিত্তিতে বাসিন্দা হিসাবে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। আর সেই নথির ভিত্তিতেই এবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ফরেন ট্রাইবুনালে। নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, আসল তথ্য-প্রমাণ নিয়ে ২৭ অগস্টের মধ্যে ট্রাইবুনাল কোর্টে উপস্থিত হতে হবে।হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান হাসেন আলি জানান, চিঠিতে বলা হয়েছে, এক মহিলাকে বাসিন্দা হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। সেই নথি যাচাই করতে হবে। বিষয়টি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে জানানো হয়েছে। উপরমহলের নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। যে মহিলার বিষয়ে এই নথি জারি হয়েছিল, তাঁর পরিবারও যায় সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তুলতে। মহিলার ছেলে রামাপদ রায় জানান, তাঁর মা এখানকার বাসিন্দা ছিলেন, তার প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: 'কিছু হলেও মিটিয়ে দিন' বলার মানে তো ভিক্ষা! ডিএ মামলায় 'অপমানিত' সরকারি কর্মীরা)
আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে হামলার হুমকি, এরই মাঝে মীরপুর ক্যানটনমেন্টে পাক নাগরিক নিয়ে গুঞ্জন
এই ঘটনা ঘিরে ফের একবার কোচবিহার জেলায় এনআরসি-কে ঘিরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এর আগে উত্তম কুমার বজবাসী, নিশিকান্ত দাস, অঞ্জলি শীল, আরতী ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তি এনআরসি সংক্রান্ত নোটিস পেয়েছিলেন। আলিপুরদুয়ারেও এমন নোটিস পৌঁছেছিল। এবার সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হল হাজরাহাট-২ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধানের নাম। রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করছেন, এই ধরণের চিঠি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। অন্যদিকে প্রশাসনিক স্তরে চলছে চিঠির যথার্থতা খতিয়ে দেখার কাজ।