কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় পর্যটকদের নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় গোটা দেশ তথা আন্তর্জাতিক মহল কেঁপে উঠেছে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের হত্যা করে ওই সন্ত্রাসবাদীরা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতকে। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন বাংলার পর্যটকও। এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদে জলপাইগুড়ি শহরে মিছিল করল সিপিএম। জেলা পার্টি অফিস ডিবিসি রোড থেকে মিছিল শুরু হয়। তারপর তা কদমতলা, কামারপাড়া, মার্চেন্ট রোড থানা মোড় হয়ে মিছিল শেষ হয়। সন্ত্রাসবাদী হামলা বন্ধ করে উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি তোলা হয়। দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি ওঠে মিছিল থেকে। এভাবেই চাপ বাড়ানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
এই হত্যাকাণ্ডের পর পাঁচটি কড়া পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে কতটা প্যাঁচে পড়বে পাকিস্তান তা নিয়ে সন্দেহ আছে। জঙ্গিদের নির্বিচারে গুলি করে পর্যটকদের হত্যা করার প্রতিবাদে ধিক্কার জানিয়ে বুধবার দেশপ্রিয় নগর কলোনি বাজার অঞ্চলে এবং পূর্ব বেলঘরিয়ায় মিছিল করে এসএফআই। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বর্বর সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করে এবং নিহত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এদিন সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জে মিছিল করে সিপিএম। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরেও মিছিল করে সিপিএম। মিছিলে ছিলেন সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলাকে ৫০০ সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে, কেন এমন পদক্ষেপ?
আবার বারাসাত উত্তর–পূর্ব এরিয়া কমিটির উদ্যোগেও মিছিল করা হয়। বাংলার তিন জনের দেহ ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে এবং শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে চলেছে। সিপিএম মনে করে এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। হঠাৎ করে এমন ঘটেনি। কাশ্মীরে পহেলগাঁও এলাকায় পর্যটকদের উপর এমন হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বড়জোড়ায় মিছিল করে সিপিএম। এখানেই স্লোগান ওঠে ‘কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা বন্ধ করো।’ হাওড়া জেলার সালকিয়া, রামরাজাতলা এবং আমতায় সিপিএম ধিক্কার মিছিল করে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হয় ওই মিছিল থেকে। আবার এই ইস্যুতে পথে নামা হবে বলে সূত্রের খবর।