কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা আরও সক্রিয় হয়ে উঠল। সেখানে পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। যা নিয়ে এখন গোটা দেশ তথা আন্তর্জাতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের উপর ভারত পাল্টা জবাব দেবে কিনা সে প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু অনুপ্রবেশ এবং নাশকতা রুখে দেওয়াই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর তাই ডায়মন্ডহারবার একটা পর্যটনস্থলও বটে। এখানে বহু মানুষের আনাগোনা রয়েছে। আবার সুন্দরবনের জলসীমান্ত পেরিয়ে এখানে ঢুকতে পারে জঙ্গিরা। আর তাই নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলাকে ৫০০ সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে নজরদারি বাড়াতেই এই কাজ করা হচ্ছে। ৫০০ সিসি ক্যামেরা যদি বসিয়ে ফেলা যায় ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় তাহলে নিরাপত্তা যে অত্যন্ত মজবুত হবে সেটা বলাই যায়। এই ৫০০ সিসি ক্যামেরা নানা প্রান্তে বসবে। তার মধ্যে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কও পড়বে। একাধিক থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পথে এই সিসি ক্যামেরা বসবে। আর এই কাজের জন্য পরিবহণ দফতর থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এই ৫০০ সিসি ক্যামেরার মধ্যে ২০০ জুম ক্যামেরা এবং ৩০০ বুলেট ক্যামেরা বসানো হবে। এই বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে এই ক্যামেরা বসানোর কাজ করা হবে। ক্যামেরাগুলি বসানো হলে এলাকায় নজরদারিতে সুবিধা হবে।’
আরও পড়ুন: আবার বন্ধ থাকতে চলেছে হাওড়া পুর এলাকার জল পরিষেবা, বিজ্ঞপ্তি ঘিরে চাপ বাসিন্দাদের
অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেবাশ্রয় কর্মসূচি করার সময় লক্ষ্য করেছিলেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় খামতি রয়েছে নিরাপত্তার। এটার সুযোগ অনেকেই নিতে পারে। তাই এই নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। তার জেরেই এমন পদক্ষেপ বলে সূত্রের খবর। পৈলান থেকে হটুগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অন্তর্ভূক্ত। এখানে ঘুরতে আসেন বহু মানুষ। বাইরে থেকে মানুষজন এসে থাকেন। এখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব পেয়ে তা নবান্নে জানায় পুলিশ। তখন রাজ্য সরকার তার অনুমোদন দিতেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া এখানে উন্নতমানের ক্যামেরা বসবে বলে খবর। এই ক্যামেরাগুলি রাতেও স্পষ্ট ছবি তুলে ফেলবে। সুতরাং অপরাধ কমিয়ে ফেলা যাবে। আর ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যাপক উপকার হবে। সিসি ক্যামেরা দিয়ে মুড়ে ফেলার পর তা কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি করা হবে। এই কাজ সম্পন্ন হলে নিরাপত্তা বাড়বে এবং তদন্তেও সুবিধা হবে। পথ দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে অপরাধের তদন্ত সব ক্ষেত্রেই পুলিশের অনেক উপকার হবে। আর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মজবুত হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন।