গরমে এখন হাঁসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। সূর্যের প্রখর তেজে এখন নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই আবহে এবার জল পরিষেবা বন্ধ থাকার খবর মিলেছে। আবার হাওড়া পুরসভা এলাকায় বহুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকতে চলেছে জল পরিষেবা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গরমকালে জলও যদি পাওয়া না যায় তাহলে তেষ্টা মিটবে কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। কদিন আগেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আবার এমন কেন হল? নানা প্রশ্ন এখন ধেয়ে আসছে। তার থেকে বড় সমস্যা হয়ে হল, জল বন্ধ থাকলে বিকল্প পথ কী? গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে জলই একমাত্র শরীর জুড়ে আরাম দেয়। এখন সেটাই মিলবে না!
কবে থেকে জল মিলবে না? হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত হাওড়া শহরজুড়ে বিশাল এলাকায় বন্ধ রাখা হবে জল সরবরাহ। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেক্ষেত্রে প্রায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে জল সরবরাহ। কিছু মেরামতের কাজ চলবে। আর তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই খবর শুনে চাপে পড়ে গিয়েছেন হাওড়া পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা। কারণ জল না মিললে চলবে কেমন করে! যদিও রাজ্যজুড়ে জলসংকট মেটাতে এখন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে নবান্ন। সেখানে ফোন করলে জল সমস্যার সমাধান হবে মুহূর্তে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বিজেপি কনভেনারের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, পড়ল পোস্টার
দু’দিন ধরে গরম ব্যাপক আকারে পড়েছে। তার মধ্যে জল না পাওয়া গেলে সমস্যা যে মানুষের আরও বাড়বে সেটা ভেবেই চিন্তায় পড়েছেন বাসিন্দারা। তবে জরুরি কিছু পাইপলাইনের কাজ করতে হবে বলেই জল সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। আর তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারিও করেছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাওড়ার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নটবর পাল রোড এবং ইস্ট ওয়েস্ট রোডের মধ্যে সংযুক্ত জলের পাইপলাইন ও ড্রেনেজ ক্যানেল রোড এবং কামারডাঙা রোডের মধ্যে সংযুক্ত পাইপ লাইনে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটা মেরামত থেকে শুরু করে যুক্ত করার কাজ চলবে। আর তাই আগামী শনিবার ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে পরদিন রবিবার ২৭ এপ্রিল সকাল ৬টা পর্যন্ত গোটা হাওড়া পুরসভা এলাকার ১ থেকে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আগামী শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তীব্র গরমের প্রভাব চলবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। এখন সেই তীব্র গরম শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে পাইপলাইনের কাজ এবং তার জন্য জল পরিষেবা বন্ধ থাকলে অফিস থেকে যাঁরা বাড়ি ফিরবেন এবং বাড়ির সদস্যরা জল পাবেন না। প্রায় ১১ ঘণ্টা জল বন্ধ থাকলে তা স্বাভাবিক কাজকর্মে প্রভাব ফেলবে। ২৭ এপ্রিল থেকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। কিন্তু মাঝের সময়টা গরমে জল ছাড়া কাটানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন হাওড়ার বাসিন্দারা। এই বিজ্ঞপ্তি আগাম হাতে চলে আসায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছেন বাসিন্দারা। তবে পাইপলাইনের কাজ সম্পূর্ণ হলে এখানে জলের সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।