ট্রলি ব্যাগে দেহ বন্দির ঘটনা একের পর এক দেখেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু তারপরও বিষয়টি শেষ হয়নি। এবার নতুন একটি ঘটনা সামনে এল। তাও ট্রলি ব্যাগকে সামনে রেখেই। এবার চার বছরের এক শিশুপুত্রকে চুরি করার অভিযোগ উঠল। আর তাতেই ব্যবহার করা হল ট্রলি ব্যাগ। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম এক ব্লকের শিমুলকুন্ডু গ্ৰামে ট্রলি ব্যাগে শিশুপুত্রকে বন্দি করে চুরির ছক কষা হয়। আর এই ঘটনায় গৃহশিক্ষক–সহ পাঁচজনকে গ্ৰেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। ট্রলি ব্যাগে করে ওই শিশুপুত্রকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। শনিবার এই ঘটনা নিয়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
এদিকে এই শিশুপুত্রের পরিবারের বাবা, মা এবং ৯ বছরের দিদি আছে। ওই শিশুপুত্র অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। বিশেষ আওয়াজ এমনিই পাওয়া যায় না। তার উপর তাকে ট্রলি বন্দি করে রাখার জেরে আরও আওয়াজ মেলেনি। ওই শিশুর বাবার চায়ের দোকান আছে। আর তার মা রুটি ফেরি করে গ্ৰামে গ্ৰামে ঘুরে। প্রত্যেকদিন সকালের মতো শুক্রবারও বাবা–মা ব্যবসার কাজে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর শিশুটির দিদির টিউশন মাস্টার পড়াতে চলে আসে খুব ভোরে। গোটা ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। ৯ বছরের মেয়েটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে ওই শিক্ষক। তারপর চার বছরের বাচ্চার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। পরে এই ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই শিশুটির দিদি চুরির কথা বলে দেয়।
আরও পড়ুন: জল ধরো জল ভরো প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা, পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুকের চোখে বাংলা
অন্যদিকে চারদিকে গোটা ঘটনা চাউর হয়ে যেতেই নন্দীগ্রাম দুই ব্লকের ঘোল পুকুর এলাকায় শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। এই অভিযোগের কথা থানায় দায়ের হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর রাস্তা থেকেই শিশুপুত্রকে উদ্ধার করে। তখন থেকে লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়। তারপর গৃহশিক্ষক–সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই শিশুটিকে নেশার দ্রব্য দিয়ে নিস্তেজ করে ফেলা হয়েছিল। আর যাতে মরে না যায় তার জন্য ট্রলির চেন খুলে রেখেছিল অভিযুক্তরা। এই শিশুকে বিক্রি করার ছক কষা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে গৃহশিক্ষকের মা, স্ত্রী জড়িত। পাঁচজন সদস্যের মধ্যে একজন নার্সিং ছাত্রীও ছিল। এদের আগামীকাল রবিবার আদালতে তোলা হবে।
এছাড়া অমানবিক ঘটনা ঘটেছে নদিয়ায়ও। নিজের মেয়েকে রাস্তায় আছাড় মেরে পরে কৃষ্ণনগর জলঙ্গি সেতুর উপর থেকে নদীতে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়। স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহ করত স্বামী। তাই নিয়ে বিবাদ। সেই বিবাদ থেকেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে স্বামী বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। শুক্রবার হোলির দিন এই অশান্তি হয়। স্বামী বাড়ি থেকে অশান্তি করে বেরিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফিরে দেখে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছে তার চার বছরের মেয়েকে বাড়িতে ফেলে রেখে দিয়ে। তখন এই নির্মম ঘটনা ঘটায় স্বামী বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তার নিজের মাকে জানায়, মেয়েকে সে মেরে ফেলেছে।