জাল ওষুধের কারবারের পর জাল পেট্রল। আর তা ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায়। কারণ এখানে একাধিক পেট্রল পাম্প নেই। এই সুযোগে রাস্তার ধারে বোতলে করে বিক্রি হয় পেট্রল। কিন্তু সেই পেট্রল দিয়ে গাড়ি চালাতে গেলে গাড়ি চালকরা আশানুরুপ মাইলেজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন এই ঘটনা সহ্য করেছেন অনেকে। টাকা দিয়ে পেট্রল কিনে এভাবে প্রতারিত হতে হয়েছে। তাহলে কি ওই তরল বস্তু পেট্রল নয়? কিন্তু গন্ধ পেট্রলের মতোই বের হচ্ছে। এইসব চলাকালীন মানুষজনের সন্দেহ হওয়ায় নালিশ ঠুকে দেন তাঁরা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে। আর তখনই পর্দাফাঁস হয়ে যায়।
এদিকে বারবার অভিযোগ জমা পড়ায় তদন্তে নেমে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এরপর গোটা ঘটনাটি নজরে পড়ে সুতি থানার পুলিশ এবং জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের। তখন একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। গোপন সূত্র পাওয়া খবরের উপর ভিত্তি করেই পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলা হয়। আর তারপরই শুক্রবার মাঝরাতে অভিযান চালায় সুতি থানার পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসাররা। ওই অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়শো লিটারের বেশি জাল পেট্রল উদ্ধার করেন অফিসাররা। এই অবৈধভাবে পেট্রল তৈরির চক্রের পর্দাফাঁস করে দেন তাঁরা। এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে রেশন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি রেশন ডিলারদের, নয়াদিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু
আজ ধৃতদের শনিবার জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। আর পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে সেখানে। জেলা পুলিশের এক অফিসার জানান, কদিন ধরেই তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে সুতি থানার অন্তর্গত মানিকপুর মোড় এবং ধলা মোড়ের নিকটে বেশ কিছু যুবক দীর্ঘদিন ধরে বোতলে করে পেট্রল বিক্রি করছে। কিন্তু ওই পেট্রল কিনে গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় মাইলেজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তা লিখিত আকারে জমা পড়ে পুলিশের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুতি এলাকায় একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে জাল পেট্রল তৈরি করা হতো। তাতে একটি চক্র কাজ করত। উঁচু পাঁচিল দিয়ে ওই এলাকা ঘেরা ছিল। তাই স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভিতরে কী চলছে তা টেরও পেতেন না।