সামশেরগঞ্জের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডানদিকে ঢুকলে ধুলিয়ান। যেটা হাঙ্গামার হটস্পট হয়ে উঠেছিল। শুধু তাই নয়, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর, সূতি, রঘুনাথগঞ্জ এই এলাকাগুলিতেও স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে তুমুল অশান্তির। এই আবহে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং শীর্ষ অফিসারদের এই এলাকায় উপস্থিত হয়ে তাঁদের নেতৃত্বে লাগাতার টহল এবং ধরপাকড় চলেছে। তার সঙ্গে প্রায় ৮০০ আধাসেনা জওয়ানের রুটমার্চ চাপে ফেলে দিয়েছে অপরাধীদের। জঙ্গিপুর মহকুমাজুড়ে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। এই অশান্তির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ১৮০ জনকে। আর তার জেরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ।
এদিকে নতুন করে আর অশান্তির খবর মেলেনি। অনবরত রুটমার্চ করে চলেছে আধা সামরিক বাহিনী। প্রত্যেকটি গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশও। যাঁরা অশান্তির জেরে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের অফিসাররা আজ, সোমবার জরুরি বৈঠক করতে পারেন পরিস্থিতি নিয়ে। জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে শান্তির পরিবেশ গড়ে উঠছে। রাজ্য পুলিসের অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন বিএসএফের আইজি কারনি সিং শেখাওয়াত। রাতভর টহল চলেছে। পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ সহযোগিতায় ‘নিশ্চিন্ত’ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ঘোষণা করেছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। তবে সর্বত্র বিশাল পুলিশ বাহিনী ও বিএসএফকে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নববর্ষের প্রাক্কালে সুন্দরবনের নদী পেরিয়ে অনুপ্রবেশ, গ্রেফতার ১২ জন বাংলাদেশের নাগরিক
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের নানা জায়গায় জারি রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা। বেআইনি জমায়েতের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। মুর্শিদাবাদের নানা এলাকায় ঘোরেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। গতকালই তিনি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সর্বত্রই বিশাল পরিমাণে পুলিশ ও বিএসএফ মোতায়েন করা হয়েছে। ধুলিয়ান এলাকার বাজার–দোকানপাট না খুললেও সূতি এবং রঘুনাথগঞ্জে এখন জনজীবন ছিল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। জঙ্গিপুর মহকুমায় এখন ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আর সীমান্ত এলাকায় রয়েছে বিএসএফ। স্পেশ্যাল মনিটারিং দল গড়ে উঠেছে। তারা সবদিকে নজরদারি করছে।