ধৃতের নাম হল অভিরাম টপ্পো। ধৃত শামুকতলা থানার কার্তিকা চাবাগানের ধোবি লাইনের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন দিনমজুর। শনিবার রাতে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তারা হরিণটিকে ঘিরে ধরে শিকার করে মহাভোজের আয়োজন করেছিল। প্রতিদিনকার মতোই সেখানে রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল বন বিভাগের কর্মীরা
হরিণ শিকারের অভিযোগ। (ফাইল ছবি)
জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে হরিণ শিকার করেছিল চোরা শিকারীরা। আর সেই হরিণের মাংস দিয়েই তারা জঙ্গলের মধ্যেই মহাভোজের আয়োজন করেছিল। কিন্তু, হরিণের মাংস রান্নার আগেই সেখানে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে হরিণের ২০ কেজি মাংস। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের বক্সা টাইগার রিজার্ভের পূর্ব বিভাগের জঙ্গলের ময়নাবাড়ি ফরেস্টে। এই ঘটনায় ধৃতের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হল অভিরাম টপ্পো। ধৃত শামুকতলা থানার কার্তিকা চাবাগানের ধোবি লাইনের বাসিন্দা। সে পেশায় একজন দিনমজুর। শনিবার রাতে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল। তারা হরিণটিকে ঘিরে ধরে শিকার করে মহাভোজের আয়োজন করেছিল। প্রতিদিনকার মতোই সেখানে রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল বন বিভাগের কর্মীরা। তখনই তারা সেখানে হানা দিয়ে হরিণের মাংস উদ্ধার করে। তবে বন কর্মীদের দেখে বাকিরা পালিয়ে গেলেও অভিরাম পালিয়ে যেতে পারেনি। তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বন কর্মীরা। কীভাবে হরিণকে মারা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরজন্য ময়নাতদন্ত করা হবে। এই ঘটনার খবর পেয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘটনার কথা জানতে পেরেই তিনি তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। হরিণের কাঁচা মাংস ছাড়াও মাংস রান্না করার সরঞ্জাম সেখান থেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। ফলে আধিকারিকদের অনুমান, হরিণ শিকার করার উদ্দেশ্যেই তারা জঙ্গলের মধ্যে ঢুকেছিল।