স্কলারশিপের টাকা তছরুপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে মাস খানেক আগে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। সেই ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন। এছাড়া, আরও অনেক অভিযুক্ত রয়েছে যারা বাংলাদেশ ও নেপালে পালিয়ে গিয়েছে। আদালতে এমনই তথ্য জানাল সিআইডি। মঙ্গলবার স্কলারশিপের টাকা তছরুপের ঘটনায় ধৃত ৭ জনকে আদালতে তোলা হয়। সেখানেই সিআইডি এই তথ্য জানিয়েছে। এছাড়াও, এদিন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আরও একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিআইডি।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু স্কলারশিপ দুর্নীতিতে CBI তদন্ত, বাংলার TMC নেতা জড়িত, দাবি শুভেন্দুর
সূত্রের খবর, এদিন যে ৭ জনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয় তারা উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার ৭জন আদালতে জামিনের আবেদন জানান। তবে রায়গঞ্জ জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ধৃতদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। সেইসূত্র ধরেই তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। আগামী ২২ এপ্রিল মামলার শুনানি।
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় আরও যারা অভিযুক্ত রয়েছেন তাঁদের কেউ পেশায় গৃহশিক্ষক, কেউ আবার এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও শাসকদলের প্রভাবশালী নেতা। এর আগে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মাঝিয়ালী হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ মুফতাজুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে ইসলামপুর মহকুমা সংশোধনাগার রয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিকদের ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ স্কুলের পোর্টালের নম্বর বদলিয়ে তিনি প্রতারণা করেছিলেন। এখন তাঁকে জেরা করতে চাইছে সিআইডি।