গুরুতর অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুঁথিশালা থেকে নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে বহু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি। সেগুলি কয়েকশো বছরের পুরনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের অভিযোগ, এইসব পুঁথি চুরি হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, উধাও হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, যা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: দেশে নেই ইউনুস, 'অ্যাকশন মোডে' বাংলাদেশ সেনা, আটক হাসনাতদের দলের দামাল নেতা)
আরও পড়ুন: ১৩ মাস ধরে উপাচার্যহীন, এবার ইস্তফা রেজিস্ট্রারের, অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল NBU
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পুঁথিশালা থেকে এইসব পুঁথি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, পুঁথিগুলি ৫০০ বছরেরও পুরনো। সবমিলিয়ে ৪৪ টির বেশি পুঁথির হদিশ মিলছে না। এরমধ্যে মঙ্গলকাব্য ও লোকসংস্কৃতির দুষ্প্রাপ্য পুঁথি রয়েছে, যা জাতীয় সম্পদ। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রধান নিখিলেশ রায় দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুঁথি উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এর আগে পুঁথিশালার দায়িত্বে ছিলেন মঞ্জুলা বেরা। ফলে তাঁর দিকেই উঠছে অভিযোগের আঙুল। নিখিলেশ বাবু জানান, পুঁথিঘরের রেজিস্টারে ক্রমিক সংখ্যায় গরমিল পাওয়া গিয়েছে। একাধিক পুঁথির কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে ৪৪টি পুঁথি উধাও। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে বুধবারই জরুরি বৈঠক হয়েছে। আজ শুক্রবার ফের এনিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। (আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র, কবে থেকে করা যাবে আবেদন? পরীক্ষা কবে নাগাদ?)
জানা গিয়েছে, মঞ্জুলা বেরার আগে এই পুঁথিশালার দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান সুবোধ কুমার যশ। ১৯৯৯ সালে এই পুঁথিশালার দায়িত্ব নেন মঞ্জুলা বেরা। তখন থেকেই তিনি এর দায়িত্বে রয়েছেন। সব মিলিয়ে এখানে দুষ্প্রাপ্য এবং প্রাচীন মিলিয়ে প্রায় ৮৫০টি পুঁথি রয়েছে। ২০২২ সালে পুঁথিশালাটি পাখির বৃষ্ঠা, ধুলোবালিতে ভর্তি হয়েছিল। প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল পুঁথিশালাটি। পরে ফের এই পুঁথিশালার সংস্কার হয়। আজ শুক্রবার অবসর নিচ্ছেন মঞ্জুলা বেরা। তার আগেই গত ২৬ মে দায়িত্ব নিয়েছেন নিখিলেশ রায়। তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন মঞ্জুলা বেরা। সেই সময় বিষয়টি সামনে আসে।
যদিও মঞ্জুলাদেবী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যে অবস্থায় দায়িত্ব পেয়েছিলেন সেই অবস্থায় রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।