বহুদিন পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল একান্ত বৈঠক করলেন। রবিবার বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে প্রায় দশ মিনিটের বৈঠক হয়। এখন এই বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য মমতার,হাতজোড় করলেন কেষ্ট মণ্ডলও!লিখলেন কী?
‘নানুর দিবস’ উপলক্ষে দু’দিনের সফরে রবিবার বিকেলে বীরভূমের রাঙাবিতানে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ জেলা সভাপতি কাজল শেখ। নেত্রী তাঁদের সঙ্গে কিছুটা সময় কথা বলেন। তারপরেই অতিথি নিবাসে হাজির হন বীরভূমের বিতর্কিত প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। দলীয় সূত্রের দাবি, নেত্রী তাঁদের ভিতরে ডাকেন এবং কেষ্টর সঙ্গে হয় দশ মিনিটের একান্ত বৈঠক।
বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। উল্লেখ্য, ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে কেষ্টকে দেখা যায়নি। যদিও অনুব্রতের যুক্তি ছিল, তিনি সভাস্থলে ছিলেন, কিন্তু গরমের জন্য পাশের তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আজ নানুর দিবস উপলক্ষে পদযাত্রা করবেন মমতা। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বা পদযাত্রায় কেষ্টকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল হয়তো ফের কেষ্টকেই কাজে লাগাতে চাইছে বীরভূমে। জেলার সংগঠনে তাঁর দাপট আজও অস্বীকার করার উপায় নেই। বিশেষত, যেভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল, সেখানে অনুব্রতের মত সংগঠককে বাদ দেওয়া যে সহজ হবে না, তা ভালোভাবেই জানে দল। তাছাড়া, সম্প্রতি অনুব্রতের কিছু আইনি জটিলতা শিথিল হয়েছে। সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে হয়তো তাঁকে ফের জেলা সংগঠনের কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। আবার অন্য একটি রাজনৈতিক ব্যাখ্যা হল, দলের অন্দরে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিচ্ছে, সেখানে অনুব্রতের মতো একজন নেতাকে সক্রিয় রাখা দলীয় কৌশলের অঙ্গ।