মাল নদীতে বান এসেছিল মহালয়ার দিনও। ভেঙে পড়েছিল অস্থায়ী বাঁধ। সেখানেই বাঁধ তৈরি করে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর বিজয়া দশমীর রাতে সেই বাঁধ আটকাতে পারল না হড়পা বান। তার জেরে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে এখন কেউ নিঁখোজ না থাকলেও জখম হয়েছেন ৩০ জন। এই বিষয়টি নিয়েই এখন রাজনীতি শুরু করেছে বিরোধীরা। আজ, শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসছে বিজেপির প্রতিনিধিদল। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? নবান্ন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা প্রশাসনের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। একইসঙ্গে সমস্ত ঘাটে বাড়তি নজরদারি করার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী মুখ্যসচিব জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গেও কথা বলেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, মহালয়ার দিন হড়পা বান হয়েছে মাল নদীতে। তাহলে এখানে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা কেন করা হয়েছিল? যদিও মহালয়ায় এখানে বান এসেছিল কিনা তার কোনও সরকারি তথ্য মেলেনি। বিষয়টি এখানের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন।
ঠিক কী বলছেন মালবাজারের চেয়ারম্যান? এই ঘটনা নিয়ে মালবাজারের চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বলেন, ‘পাহাড়ি মাল নদীকে বাগ মানানোর কোনও চেষ্টা আমরা করিনি। আমরা দীর্ঘদিনের প্রথা মেনে যেভাবে ঘাট করা হয় সেটাই করেছিলাম। বিরোধীদের এই নিয়ে রাজনীতি করা বেদনাদায়ক।’ আর পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘নদীতে কীসের বাঁধ কোথায় দেওয়া ছিল তা জানা নেই। তবে মাল নদীতে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা গত কুড়ি বছরের রেকর্ডে এমন ঘটেনি। পর্যাপ্ত সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ করে জল বেড়ে যায় এবং তাতে মানুষজন ভেসে যান। আটজনের মৃত্যু হয়েছে।’