মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুন বাংলাদেশি নাগরিক বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি তাঁর ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। এর পরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। সঙ্গে তাঁকে জাল নথি বানাতে যারা সাহায্য করেছিলেন তাঁদেরও গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে লাভলি খাতুনকে জাল নথি তৈরিতে সাহায্য করায় দাদার শাস্তির দাবি করলেন মোস্তাফার ভাই আজাদ। তিনি বলেন, দাদা যা করেছেন তা দেশদ্রোহিতার সামিল। ওর শাস্তি চাই।
লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় মহকুমাশাসককে তদন্ত করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে অভিযোগ সত্য। এর পরই মুখ খুলেছেন আজাদ সাহেব। হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তিকে বাবা বলে দাবি করে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন লাভলি। যদিও সেখানে মোস্তাফার ঠিকানা ছিল শালদহ গ্রাম। মোস্তাফার ভাই আজাদ সাহেব বলেন, লাভলি খাতুন আমার দাদার সন্তান নয়। আমার দাদার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। তাদের সবাইকে আমি চিনি। একজন বাংলাদেশিকে ভারতীয় নথি তৈরিতে সাহায্য করে দাদা দেশদ্রোহিতা করেছেন। আমি তাঁর শাস্তি চাই।
ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি লাভলি খাতুন। মহকুমাশাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, নথি খতিয়ে দেখে লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। এর পর পঞ্চায়েত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।