শহরের মধ্যে তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে লটারির দোকান। তাই না দেখে রেগে কাঁই দলীয় বিধায়ক। এক ঘণ্টার মধ্যে লটারির দোকানের বোর্ড খোলার নির্দেশ দিতেল তিনি। ঘটনা বর্ধমান পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাদামতলা এলাকায়। বিধায়কের নির্দেশে খুশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাংশ। তাদের দাবি, ব্যক্তগত স্বার্থে পার্টি অফিস ভাড়া দিয়ে দিয়েছিল কিছু ব্যক্তি।
শনিবার রাতে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করতে বর্ধমান শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তখনই তিনি দেখেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি দোকানে রমরমিয়ে চলছে লটারির দোকান। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদারকে ডেকে ধমক দেন। বলেন পার্টি অফিস কারও ব্যক্তিগত জায়গা নয়। অবিলম্বে তাঁকে দোকান সরাতে হবে সেখান থেকে। খুলে ফেলতে হবে লটারির দোকানের বোর্ড। সেজন্য ১ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তিনি।
ওদিকে যিনি পার্টি অফিস ভাড়া দিয়েছেন তাঁর দাবি, অনেকদিন আগে এটি পার্টি অফিস ছিল। এখন আর কেউ আসে না। তাই বাবা ঘরটি এক লটারি বিক্রেতাকে ভাড়া দিয়েছেন। মাসে ৪ হাজার টাকা করে ভাড়া দেন তিনি। যদিও খোকনবাবু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পার্টি অফিসই থাকবে ওই জায়গায়। সেখানে যাতায়াত করবেন তৃণমূল কর্মীরা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, আমি বিধায়ক খোকন দাস কে ধন্যবাদ জানাবো যে তিনি তার কর্তব্য পালন করেছেন। অনেকদিন ধরেই এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আমিও জানি, প্রতিবাদও করেছিলাম, কিন্তু গুটিকয়েক মানুষ তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব করছে।