বিজেপির মুষলপর্ব অব্যাহত রয়েছে। এই বিষয়ে দু’জন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার পর্যন্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, আরও অনেক নেতা আমার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে নাকি? তারপর গতকাল মেজাজ হারিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন রীতেশ তিওয়ারি এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।ঠিক কী বলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক? এই টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শান্তনু আমার সহকর্মী। আমার ভাই। ওঁ সংখ্যালঘিষ্ঠদের সাংসদ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। ওঁ কী করবেন কী সিদ্ধান্ত নেবেন সে বিষয়ে আমি কোনও কথা বলব না।’ এই মন্তব্য করার পরই মনে করা হচ্ছে সুর নরম করতে শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। উল্লেখ্য, শান্তনু ঠাকুর হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে কার্যত মেজাজ হারিয়ে তিনি আগে বলেছিলেন, ‘আপনাকে কেন বলব! আপনি কি দলের লোক? এটা কী আপনার কাজ?’ এবার কৌশলী মন্তব্য করলেন তিনি। সুতরাং একটা বার্তা বিদ্রোহীদের কাছে গেল যে, তাঁরা ঠিক পথেই এগিয়েছেন এবং এই পথেই মিলবে সমাধান। আর বার্তা গেল শান্তনুর বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করা হবে না।সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নেতারা চ্যালেঞ্জ করেছেন, ক্ষমা চেয়ে তাঁদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এই অবস্থা হবে রাজ্য নেতাদের। এমনকী তাঁরা নয়াদিল্লি পৌঁছে এই নিয়ে হেস্তনেস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার আগে এই সুর নরম তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার কোন পথে সমাধান বেরিয়ে আসে। বিদ্রোহীরা এই মন্তব্যের পর অক্সিজেন পাচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।