ঘড়ির কাঁটায় রাত দশটা। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বারান্দায় মশারি খাটিয়ে ফেললেন এক ব্যক্তি। এরপর এক এক করে আসতে শুরু করলেন অন্যরাও। ভ্যাকসিন দেবে পরের দিন। অথচ আগের রাত থেকে এভাবেই একেবারে মশারি টাঙিয়ে রাতভর করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা। কেউ আবার সারারাত লাইনেই বসে থাকলেন। ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য এই চরম হয়রানির ছবি ধরা পড়েছে উত্তর দিনাজপুরে। বাসিন্দাদের দাবি স্থানীয় লালবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে যাঁরা কেবলমাত্র লাইনে দাঁড়াবেন তাঁরাই ভ্যাকসিন পাবেন, কোনও ইট, পাথর রাখলে তা গ্রহণ করা হবে না।পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা শুনে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি অনেকেই। বাড়ি থেকে খেয়ে মশারি, বিছানা, বালিশ নিয়ে এসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সামনে লাইন দিলেন বাসিন্দারা। কয়েকজন ঘুমোলেন মশারির ভেতরে। বাকিরা রাতভর পালা করে জেগে থাকলেন। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় দাসপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে এই ছবিই ধরা পড়েছে।রাতভর লাইন দেওয়া মিঠু সিংহ, রাজু বর্মন প্রমুখ যুবকরা বলেন, সারা রাত মশারির ভেতরেই থাকতে হচ্ছে। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ব। বার বার ভ্যাকসিন নিতে এসে ঘুরে গিয়েছি। সেকারণেই এভাবে সারারাত ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করব। এছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। পরের দিন সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলবে। আগের দিন রাত থেকে লাইন দিলেন বাসিন্দারা। এদিকে প্রশ্ন উঠছে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে এই হয়রানি কবে কমবে বাংলায়। কেন কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেন ভ্য়াকসিনের জন্য নির্দিষ্ট টোকেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠছে। ট