সম্প্রতি হুগলির দাদপুর থানা এলাকার পাঁজিপুকুরের হারিট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির মিছিল লাল ঝান্ডা হাতে কয়েকজনকে 'মোদী জিন্দাবাদ' স্লোগান তুলতে দেখা গিয়েছিল। এই নিয়ে এবার বাম নেতা মহম্মদ সেলিমকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে তমুলক জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রামের সমবায় নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম দলীয় কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন কুণাল। সেখানেই বিজেপি এবং সিপিএমকে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ।হুগলির ঘটনা নিয়ে কটাক্ষের সুরে কুণাল এদিন বলেন, 'বিজেপির মিছিলে এখন সিপিএম। মহম্মদ সেলিম এখন বিজেপির বড় এজেন্ট। বিজেপির দুই ভাই – সিপিএম আর কংগ্রেস। যেখানে বিজেপি ঢুকতে পারছে না, সেলিমের পার্টিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে। বলছে, ভোটটা ভাগ করো, মানুষকে ভুল বোঝাও। বিজেপির দালাল। নাহলে একসঙ্গে সিপিএম ও বিজেপির মিছিল? এটাই হল সিপিএমের আসল চেহারা। নিজেদের দম নেই, তাই মিছিল করছে একসঙ্গে। সিপিএম বিজেপি হাতে হাত মিলিয়ে এক পতাকা নিয়ে মিছিল করছে।'প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলে মিছিল বেরিয়েছিল হুগলির দাদপুর থানা এলাকার পাঁজিপুকুরের হারিট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানেই রাম–বাম এক হয়ে গিয়েছিল। এমনকী হারিট পঞ্চায়েত অফিসে একসঙ্গে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএমের হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সিপিআইএমের কোনও কর্মী সেখানে ছিলেন না। ওটা বিজেপির কর্মসূচি ছিল। রাস্তার পাশে আমাদের কিছু পতাকা লাগানো ছিল। সেই ঝান্ডাগুলি নিজেরাই তুলে এনে সিপিএম যোগ দিয়েছে বলে চাউর করছে বিজেপি। আমাদের কি মাথাখারাপ! বিজেপি রাস্তা থেকে আমাদের পতাকা তুলে নাটক করছে।’এদিকে শনিবার নন্দীগ্রামের ঘটনায় বিজেপিকে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতা বলেন, 'নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে শুক্রবার যে সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল, সেখানে বিপুল জয় পেয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ১২-০ ফলাফল হয়েছে। নন্দীগ্রামে তো বিজেপির পায়ের তলার জমি সরছে। তাই হার নিশ্চিত জেনে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়েছে। হিংস্র হামলা করেছে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপির লোকজন। আমাদের প্রায় ১২-১৪ জন আহত। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও কয়েকজন রয়েছেন গুরুতর জখম।' এদিকে শুভেন্দুকে তোপ দেগে কুণাল আরও বলেন, 'আসানসোলে ছবি তুলল কম্বল দেওয়ার। তারপর গন্ডগোলটা পাকিয়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। দিল্লি, কলকাতা, কাঁথি যাচ্ছে। আসানসোলের মানুষের কাছে গিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়াবার আন্তরিকতা, মানবিকতাটুকু দেখতে পারল না।'