রাজ্যের শিক্ষা ও পরিবেশ রক্ষার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরে। পশ্চিমবঙ্গ বায়ো-ডাইভার্সিটি বোর্ডের তরফে এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়কেই ‘বায়োডাইভার্সিটি ক্যাম্পাস’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি, তবে সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ধর্ষণে অভিযুক্ত, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছাত্রী
প্রায় এক দশক আগে ২০১৬ সালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গড়ে উঠেছিল একটি বায়ো-ডাইভার্সিটি পার্ক। প্রায় তিন হেক্টর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই পার্ক বর্তমানে অনন্য উদ্ভিদ জগৎ হয়ে উঠেছে। এখানে যেমন রয়েছে হারিয়ে যাওয়া দেশীয় ফলের গাছ, তেমনই চোখে পড়ে আফ্রিকার কিছু বিরল প্রজাতিও। এমনই বৈচিত্র্য নজর কেড়েছে রাজ্যের বায়ো-ডাইভার্সিটি বোর্ডের।
এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন থিম ইউনিট, আয়ুর্বেদিক ওষধিগাছের ঝোপ থেকে শুরু করে প্রজাপতির বাগান, রান্নার মশলা জাতীয় গাছের ক্ষেত্র, এমনকি রয়েছে ডাই গার্ডেন। রয়েছে সাত রকমের বাঁশ, ছয় প্রজাতির বটগাছ, এবং আট ধরণের তুলসী। এমনকি সুন্দরবনের লবণাক্ত জলের ম্যানগ্রোভও রয়েছে পার্কের জলাশয়ের ধারে।
এই পার্কে এবার বসানো হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গাছ হিজল। মিষ্টি জলের এই ম্যানগ্রোভ প্রকৃতির এক অনন্য দান, যা এখন হারিয়ে যাওয়ার মুখে। মঙ্গলবার বসানো হয়েছে ২৮টি হিজল চারা। বোটানি বিভাগের অধ্যাপিকা ও এই পার্কের কোঅর্ডিনেটর ড. নীরা সেন সরকার জানিয়েছেন, হিজল গাছের অস্তিত্ব বিপন্ন। তাই এই গাছ রক্ষার দায়িত্ব তাঁদের।