২০০৯ সালে সাতজেলিয়ার লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল সোহান। বন দফতর ওই বাঘকে খাঁচায় বন্দি করে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় তখন রাখা হয়। পরে আনা হয় ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সোহানি মারা গেলে নতুন একটি বাঘকে এনে রাখা হয় ঝড়খালিতে। তাতে মন মজেনি সোহানের। এবার গরম পড়তেই কাবু হয়ে মৃত্যু হল সোহানের।
Ad
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
কদিন ধরে অসুস্থ ছিল সোহান। মুখে কিছু তুলছিল না। তখন থেকেই চিন্তা বাড়ছিল। এই সোহানের এবার মৃত্যু হয়েছে। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সোহান। শনিবার দুপুর থেকে অসুস্থতা বাড়তে শুরু করে। তারপরই তার মৃত্যু হল। বেশি রাতে এই খবর আসে। ২১ বছরের সোহানের এভাবে মৃত্যু নিয়ে নানা কথা শুরু হয়েছে। আদর করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি বাঘের নাম দিয়েছিলেন ‘সোহান ‘ এবং ‘সোহানি’। আগেই মারা গিয়েছে সোহানি। এবার মৃত্যু হল মুখ্যমন্ত্রীর আদরের সোহানের। এই খবর বন দফতরের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এই বাঘের ময়নাতদন্ত হবে। তার পর নিয়মমাফিক শেষকৃত্য।
এদিকে বন দফতর সূত্রে খবর, কদিন ধরে কিছুই মুখে তুলছিল না সোহান। তরল জাতীয় খাবার অল্পবিস্তর খাচ্ছিল। বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা নাকি অন্য কোনও কারণ আছে সেটা পশু চিকিৎসকরা জানার চেষ্টা করছেন। এখনও এই বিষয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে কোনও তথ্য আসেনি। সূত্রের খবর, এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যুতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে ময়নাতদন্ত হবে। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রথমে এই দুটি বাঘকে এনে রাখা হয়েছিল। সোহান আর সোহানি। সোহান পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ। আর সোহানি ছিল বাঘিনী। প্রথম যখন ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটার উদ্বোধনে আসেন। তখন সালটা ছিল ২০১২। তখনই আদর করে দুটি বাঘের নাম রাখেন তিনি।