চাকরি পেতে শাঁখা - পলা খোলেননি তিনি। তাই প্রাথমিক টেট দেওয়া হল না জলপাইগুড়ির এক গৃহবধূর। রবিবার জলপাইগুড়ির সোনাগ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা চক্রবর্তীকে শাঁখা - পলা পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পর পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।রবিবার জলপাইগুড়ির দেবনগরের সতীশ লাহিড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময় পৌঁছে গিয়েছিলেন মৌমিতাদেবী। তিনি বলেন, পর্ষদের নির্দেশ থাকায় সমস্ত গয়না বাড়িতে খুলে রেখে গিয়েছিলাম। হাতে ছিল শুধু শাঁখা আর পলা। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় নিরাপত্তাকর্মীরা আমাকে শাঁখা পলা খুলতে বলেন। কিন্তু আমাদের পরিবারে বিবাহিত মহিলা শাঁখা - পলা খোলার রীতি নেই। আমি বিয়ের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও দিন শাঁখা - পলা খুলিনি। আমি কোনও মতেই শাঁখা - পলা খুলব না বলে জানিয়ে দিই। তখন আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা আধিকারিক।মৌমিতাদেবীর স্বামী জিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘শাঁখা - পলাকে কেউ অলঙ্কার হিসাবে ধরতে পারে এটা ভাবিনি। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে যখন জানলাম তখন স্ত্রীকে তা খুলে ফলতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি রাজি হননি। তবে অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা বিবাদে জড়াইনি।’এই নিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ‘শাঁখা - পাল পরে পরীক্ষার হলে ঢোকা যাবে না এটা কেমন নিয়ম। বিবাহিত মহিলা বললেই শাঁখা - পলা খুলতে পারে না কি? কড়াকড়ির নামে বাড়াবাড়ি হচ্ছে মনে হয়।’