দুর্নীতির অভিযোগে আগেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। এবার অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। নদিয়ার তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান টগরী ঘোষের স্বামীর অ্যাকাউন্টে নাকি নিয়মিতভাবে ঢুকছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা। এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় বাম-কংগ্রেস পরিচালিত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীভান্ডার নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি, বিরক্ত পিয়া লিখলেন, ‘আপনারা তো যোগ্যতাও…’
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। পঞ্চায়েত প্রধান টগরী ঘোষ এদিন একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকেন। কিন্তু সভা শুরুর আগেই পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে জমায়েত করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রধানের স্বামী নীলোৎপল ঘোষের নামে প্রায় ৪০ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে। পোর্টালে খতিয়ে দেখা গিয়েছে, সরকারি সুবিধাভোগীদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নামও। তৃণমূলের দাবি, একাধিকবার দুর্নীতির অভিযোগ করার পরেও কোনও সঠিক তদন্ত হয়নি। এমনকী, প্রধানের বিরুদ্ধে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং বেআইনিভাবে লক্ষাধিক টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই নিয়ে তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় জামিন নিয়ে ফের কাজ শুরু করেন টগরী ঘোষ।
তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে, একজন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে ফের প্রশাসনিক কাজ সামলাচ্ছেন? এই প্রশ্ন তুলে এদিন কর্মীদেরও পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেন তাঁরা। তৃণমূলের আরও অভিযোগ, দুর্নীতিতে জড়িত একজন প্রধান, যাঁর বিরুদ্ধে আগেই সরকারি অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল, তিনি স্বামীকে সরকারি প্রকল্পে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। এলাকায় উন্নয়ন থমকে আছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে অবহিত করা হয়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান টগরী ঘোষ। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। রাজনৈতিকভাবে তাঁকে বদনাম করার জন্যই এই নাটক। আইনি পথে এর মোকাবিলা করা হবে বলে তিনি জানান।