সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। যে চর্চা শুরু হয়েছে তা ভালভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওবিসি সার্টিফিকেট বিষয়ক মামলার জন্য নিয়োগ থমকে আছে।
Ad
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রমজান মাসে আজ ফুরফুরা শরিফে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই যাওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে প্রাক্তন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। নানা প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছেন। আর আজ সোমবার বিকেলে ফুরফুরা শরিফের ইফতার অনুষ্ঠান থেকে সেসবের জবাব দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে ফুরফুরা শরিফের অনুষ্ঠানে পৌঁছে শুরুতেই ওই প্রসঙ্গ তুলে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বুঝিয়ে দেন, বিরোধীদের এই ধর্মের রাজনীতির অভিযোগে তিনি বিরক্ত। তাই এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বলেন, ‘আমি যখন দুর্গাপুজো করি, কালীপুজো করি তখন তো কেউ এইসব প্রশ্ন তোলেন না। তাহলে ইফতারে যোগ দিলে এমন প্রশ্ন উঠছে কেন? সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্যই আমাদের বার্তা।’ তবে তারপরই হুগলিতে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং ১০০ বেডের একটি হাসপাতাল আবু বকরের নামে হবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ওবিসি সার্টিফিকেট বিষয়ক মামলার জন্য রাজ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। আর সেই কথা আজও সকলের সামনে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিয়োগ এবং পরিকাঠামো তৈরি করেই ১০০ বেডের হাসপাতালের উদ্বোধন হবে বলে আশ্বাস দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি খ্রিষ্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, ইদ মোবারকেও যাই, নিজে ইফতার করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। সকলের হয়ে আজ দোয়া করলাম। এটা মনে রাখবেন।’ সুতরাং ধর্মীয় মেরুকরণ যে চলবে না সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।