তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আলাদা করে রাজভবন থেকে মনিটরিং সেল খোলা যায় না। হাওড়া কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা জানানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে।
Ad
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
হাওড়ায় হিংসার ঘটনা নিয়ে বাগডোগরায় এসে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আজ, শনিবার তিনি শিলিগুড়িতে এসেছেন। কারণ এখানে জি–২০ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সেটাই সরেজমিনে দেখতে এসেছেন বড়লাট। সস্ত্রীক তিনি এখানে এসেছেন। ইতিমধ্যেই মনিটারিং সেল রাজভবনে গড়ে তোলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া কাণ্ডের পরে রাজভবনে খোলা হয়েছে আলাদা মনিটরিং সেল। কিন্তু এভাবে আদৌ পৃথক সেল খোলা যায় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যপাল? শুক্রবার যেসব দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছিল শনিবার সেসব অনেকটাই খুলেছে। যে সব ফ্ল্যাট বাড়ির সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল সেখানের মানুষজন ঘরবন্দি অবস্থা থেকে অনেকে বেরিয়েছেন। যানবাহন চলছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। সমস্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শনিবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মন্তব্য করলেন, ‘ছন্দে ফিরছে হাওড়া। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আলাদা করে রাজভবন থেকে মনিটরিং সেল খোলা যায় না। হাওড়া কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা জানানো হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। রামনবমীর দিন সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছে। আর সিআইডি’র প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই হাওড়ায় গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। আজকালের মধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে সূত্রের খবর।