গত ১৫ জানুয়ারির বিকেলে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকার পাঞ্জিপাড়ায় আসামির ছোড়া গুলিতে জখম হন পুলিশকর্মীরা। সেই ঘটনায় পুলিশের ওপর গুলি চালিয়েছিল সাজ্জাক আলম। তারপর পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালায় সে। ফিল্মি কায়দায় কম্বলের ভিতর থেকে গুলি করে পালিয়েছিল সাজ্জাক। এই আবহে প্রশ্ন ওঠে, সাজ্জাক বন্দুক কোথায় পেয়েছিল? এই নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সরকারি আইনজীবী মোক্তার আহমেদ। মোক্তারের দাবি, আব্দুল হোসেন ওরফ আবাল নামে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি সাজ্জাককে বন্দুর দিয়েছিল। (আরও পড়ুন: মমতার 'দল চালানোর ঘোষণা'র পর বড় মন্তব্য অভিষেকের, বললেন- প্রশাসন মানে...)
আরও পড়ুন: রাজ্যগুলির সাথেও আলোচনা... অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে কী বলল কেন্দ্রীয় সরকার?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল আব্দুলকে। এরপর নাকি আব্দুলকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি কর হয়, এই আব্দুল বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও এলাকার বাসিন্দা বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। তবে গত ১৫ জানুয়ারি নাকি আব্দলকে আদালতে দেখা গিয়েছিল। এদিকে পুলিশ তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছে যে পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। সেদিনের ঘটনার মুহূর্তের দৃশ্য ধরা পড়েছিল এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরায়। তাতে দেখা যায়, রাস্তার পাশ দিয়ে ছুটে পালাচ্ছে সাজ্জাক। কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে উঠে পড়ে সে। (আরও পড়ুন: চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ৫ মাস ৯ দিন পর… শনিবার কখন আরজি কর মামলার রায়?)
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি বিকেলে ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে ফেরার সময় পুলিশকে গুলি করে পালায় সাজ্জাক নামে ওই খুনের আসামি। প্রস্রাব করার কথা বলে গাড়ি থামিয়ে কম্বলের নীচ থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালায় সে। গুলিবিদ্ধ হয় ২ পুলিশকর্মী। জখম পুলিশকর্মীদের নাম নিশিকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য। এদিকে ঘটনাস্থলের বিহার সীমানা অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত। এহেন এলাকায় আব্দুলের মতো দুষ্কৃতীর গতিবিধির খবর আগাম কেন পুলিশের কাছে ছিল সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (আরও পড়ুন: প্রাইভেট গাড়ির জন্যে হাইওয়েতে নয়া 'টোল ব্যবস্থা'র ভাবনা সরকারের, জানালেন গডকড়ি)