আজ, রবিবার সকালে এক যুবতী মৃতদেহ উদ্ধার হয় গলসিতে। আর যেভাবে এই দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। কে বা কারা এই ধর্ষণ করে খুন করল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ওই যুবতীর অর্ধনগ্ন পোশাক ধর্ষণের ইঙ্গিত বহন করছে। তবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ অফিসাররা। ওই যুবতীর দেহ গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। যাতে সকলে সন্দেহ করে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবতী বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবতী বধূর নাম সজনী মুর্মু ( ২৮)। সজনী মুর্মুর সঙ্গে তাঁর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তখন থেকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে থাকতেন। সজনীর দু’বার বিয়ে হয়। প্রথম পক্ষের দুটি সন্তান এবং দ্বিতীয় পক্ষের একটি সন্তান রয়েছে। তবে কেমন করে সজনীর মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক ব্যক্তি আজ সকালে মাঠে যাবার সময় গলসির পুরন্দগর কলাবাঁধের কাছে পুকুরপাড়ে ওই যুবতী বধূকে গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। তখনই তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে ডাকেন। আর সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ জেলায় বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস, তৃণমূলে যোগ দিলেন বড়ঞার প্রাক্তন বিধায়ক
এই খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ চমকে ওঠেন। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবতীর দেহ গাছ থেকে নামানো হয়। তারপর ওই যুবতী বধূকে উদ্ধার করে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনা নিয়ে মৃত যুবতী বধূর মা তুর্কি মুর্মু সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার মেয়ের বিয়ে হয় গলসির পোতনা গ্রামে। কিন্তু স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকে বলে মেয়ে আমার কাছেই থাকত। সজনী স্থানীয় একটি ধানকলে কাজ করত। গত তিনদিন ধরে সে বাড়ি ফিরে আসেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও সজনী বাড়ি ফেরেনি। আর আজ সকালে খবর আসে, মেয়ের মৃতদেহ গাছে বাঁধা অবস্থায় মিলেছে।’
পুলিশ ওই যুবতী বধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। আর এই ঘটনার পর পুলিশ গোটা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। সেখানে চলছে পুলিশের টহলদারি। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের থেকে শুরু করে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীরা অনুমান করছেন, ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সজনী ক্ষেতমজুরের কাজ করতেন। তার সঙ্গে স্থানীয় একটি ধানকলেও কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন মৃতার মা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সজনীর পরিবারে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত সেটার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।