দিঘার জগন্নাথ মন্দির যে সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু উদ্বোধনের আগে থেকেই সেটাই ঘটেছে। বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য লগ্নে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হয়। তারপরই উপচে পড়েছিল ভিড়। আর আজ, শনিবার বারবেলায় সাড়ে তিন দিনে ১০ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী এসে গিয়েছেন মন্দিরে। এই আবহে আরও একটি বড় খবর সামনে এল পুণ্যার্থীদের জন্য। জগন্নাথ মন্দির থেকে ঠিক ৪৫ কিমি দূরে ‘দক্ষিণেশ্বর মন্দির’–এর আদলে তৈরি হচ্ছে কালী মন্দির। ভিড় জমবে ভক্তদের সেখানেও।
এদিকে কথিত আছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এলাকার প্রতাপদিঘি বাজারে প্রায় সাত দশক আগে সাধক লক্ষ্মীনারায়ণ দাস প্রথম সেখানে কালীপুজো শুরু করেছিলেন। তখন মাটির দেওয়ালের একচালা খড়ের ঘর। আর সেখানেই মাটির প্রতিমায় লক্ষ্মীনারায়ণ কালী সাধনায় নিমগ্ন থাকতেন। সেখানে বহু মানুষের আনাগোনা ছিল। কিন্তু বার্ধক্য শরীরকে আষ্টেপিষ্টে ঘিরে ধরার ফলে নিজের হাতে শান্তিশ্বরী কালীর আরাধনা করতে পারছিলেন না। একজন পুরোহিত তখন নিয়োগ করেন লক্ষ্মীনারায়ণবাবু। এরপর তাঁর প্রয়াণ হয়।
আরও পড়ুন: সাড়ে তিন দিনে ১০ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী, রবিবার ভিড় কি আরও বাড়বে? দিঘায় জনস্রোত
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে পড়ে থাকা ওই মন্দিরের দেখাশোনা করতেন স্থানীয় মানুষজন। ভক্তির টানে মন্দিরে অনেকেই আসেন। কালীমন্দিরকে ঘিরে সর্বজনীন উৎসব এখানে পালিত হয়। কিন্তু সবই এত পুরনো যে যখন খুশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে পারে। তখন থেকে নতুন করে মন্দির গড়ে তোলার ভাবনা শুরু হয়। ২০১৭ সালে মন্দিরকে সামনে রেখে ট্রাস্ট গঠন করা হয়। তারপর ২০১৮ সালে পুরনো মন্দির ভেঙে নতুন মন্দির গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। তখনই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের আদলে প্রতাপদিঘি বাজারে এই কালীমন্দির গড়ে তোলার ভাবনা সামনে আসে।