সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক বেআইনি বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে আলাদা পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। কোনও ঘটনায় মৃতদের মাথাপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। আবার কোনও ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা করে। সেই সংক্রান্ত মামলায় এই ধরনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবারকে একই পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল।
আরও পড়ুন: চিনির বস্তায় লুকিয়ে বিস্ফোরক, বোমা পাচার? দত্তপুকুরে ঘুরে শিউরে ওঠা দৃশ্য দেখল HT বাংলা
গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় মৃতদের মাথাপিছু পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরিবারের এক সদস্যকে হোম গার্ডের চাকরি দিয়েছিল রাজু সরকার। এরপর ওই মাসেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বজ বজে। সেই ঘটনায় রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। আবার জুলাই মাসে মালদহে বিস্ফোরণের ঘটনাতেও মাথাপিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা করে। সেই সংক্রান্ত মামলাগুলিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা দিয়ে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপরে ১৭ জুলাই আদালত এই সংক্রান্ত মামলায় রায় ঘোষণা করে।
আদালতের রায় অনুযায়ী, এগরাতে যেমন মাথাপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বজবজ এবং মালদহের ক্ষেত্রে একই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। পরিবেশকর্মীদের দাবি, বেআইনি বাজি কারখানা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তাঁদের বক্তব্য, বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করছে। তাই এসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ যাতে না দিতে হয় তার জন্য সরকারের উচিত অবিলম্বে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা। এর ফলে মানুষের জীবন হানির আশঙ্কাও কমবে। একইভাবে পরিবেশ কর্মীদের বক্তব্য, মানুষ যেভাবে বেআইনি বাজি তৈরির কারখানার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তাতে প্রমাণ হচ্ছে যে সরকার কর্মসংস্থানে ব্যর্থ।