এই কাজ করতে বিলি করা হবে লিফলেট। প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে হবে রঙিন ট্যাবলো। ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামেও প্রচার চালাবে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক জেলার নির্দিষ্ট বিডিও, ডিএম, গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে বসানো হবে ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে রাস্তা নির্মাণের সমস্ত তথ্য রাখতে হবে বলে নির্দেশ জারি করল নবান্ন।
১২ হাজার কিমি গ্রামীণ সড়ক তৈরি করার সংকল্প। প্রতীকী ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এই অভিযোগ বারবার উঠেছে। বাংলাকে বিপাকে ফেলতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী কখনও একশো দিনের টাকা, কখনও আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা নিয়েও সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তহবিল থেকে অর্থ খরচ করে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা সামনে নিয়ে আসতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সেটাই প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা হবে। তার জন্য নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারের বদলা নিতে চাইছে বিজেপি। এই অভিযোগ নানা জনসভা থেকে বারবার বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের মধ্যেই মাঝে আরও একটি খাতে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও সম্পূর্ন নিজস্ব খরচে ৩০০০ কোটি টাকা খরচ করে ১২ হাজার কিমি গ্রামীণ সড়ক তৈরি করার সংকল্প নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সামান্য সড়ক যোজনা প্রকল্পের নামে বাংলা যোগ থাকায় টাকা আটকে দিয়েছিল কেন্দ্র। এই আবর্তে নিজস্ব তহবিলের তৈরি রাস্তার প্রচার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
ঠিক কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন? সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের এই উদ্যোগ নিয়ে মেগা প্রচার চায় নবান্ন। কেমন করে রাজ্যজুড়ে সেই প্রচার চলবে সেটা নিয়ে সাত দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। যার মধ্যে বলা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণ যেখানে হবে সেখানে তথ্য–সহ বোর্ড দেওয়া হবে। বড়–ছোট ব্যানার ও ফ্লেক্স দিতে হবে ব্লকে, পঞ্চায়েত ভবন এবং মহকুমা অফিসে। নির্দিষ্ট এলাকা ধরে ধরে রাস্তা নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে মাইকিং করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।