শিখ সম্প্রদায় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর ফলে বারাণসীর এমপি-এমএলএ আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার পুনর্বিবেচনার পথ সহজ হল।
আরও পড়ুন-সত্যি হল জল্পনা লাদাখে হিংসাত্মক আন্দোলনে উস্কানি, গ্রেফতার সোনম ওয়াংচুক
২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াতে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী কিছু মন্তব্য করেন যা ভারতের শিখ সম্প্রদায়কে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, 'ভারতে লড়াইটা এই নিয়ে যে একজন শিখ কী পাগড়ি পরতে পারবে, কারা পরতে পারবে, বা গুরদ্বারায় যেতে পারবে কিনা। এই লড়াই শুধু শিখদের জন্য নয়, বরং সব ধর্মের মানুষের জন্য।' তাঁর এই মন্তব্যের ভিত্তিতে গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪-এ নাগেশ্বর মিশ্র নামে এক ব্যক্তি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।প্রথমে নভেম্বর ২০২৪-এ অতিরিক্ত প্রধান বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি খারিজ করে দেন, কারণ বক্তব্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া হয়েছিল এবং তাই তাদের এখতিয়ারের বাইরে। কিন্তু বিশেষ আদালত (এমপি/এমএলএ কোর্ট) নাগেশ্বর মিশ্রের আপিল মঞ্জুর করে জুলাই ২১, ২০২৫-এ মামলাটি পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন-মিনি রাইসিনা হিলস! বিশ্বের বিলাসবহুল ট্রেন যাত্রায় রাষ্ট্রপতি, কী কী সুবিধা রয়েছে?
এরপরই কংগ্রেস সাংসদ এই আদেশের বিরোধিতা করে আগস্টে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পুনর্বিচারের আবেদন করেন। তিনি দাবি করেন, বিশেষ আদালতের এই আদেশ 'ভুল, অবৈধ এবং এখতিয়ারবহির্ভূত।' গত ৩ সেপ্টেম্বর সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায়দান স্থগিত রাখে। শুক্রবার জানিয়ে দিল, রাহুলের আর্জি খারিজ করছে আদালত। এর ফলে বারাণসীর আদালতে মামলার পুনর্বিবেচনা হবে। রাহুল গান্ধীর মন্তব্য দেশজুড়ে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল এবং অনেকেই তা 'প্ররোচনামূলক' বলে উল্লেখ করেছিল। শুধু তাই নয়, কংগ্ৰেস নেতার বিরুদ্ধে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের অভিযোগ তুলে তাঁর বাংলোর অদূরেও বিক্ষোভ হয়েছিল। গত বছর দিল্লিতে বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে কয়েকটি শিখ সংগঠন রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদের সরকারি বাংলের অদূরে বিক্ষোভ দেখান। বিষয়টি নিয়ে রাহুল গান্ধীর তীব্র সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং তাঁর মূল বক্তব্য ছিল ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে।