তৃণমূল ও বিজেপি–র সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় রবিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকা। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে র্যাফকে নিয়ে ময়দানে নামে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসকদল ও বিরোধী। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মোট ৮ জন জখম হয়েছেন।জানা গিয়েছে, সঙ্ঘর্ষের সূত্রপাত এদিন দুপুরে, বর্ধমান শহরের নীলপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের কর্মীরা এদিন ওই এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে তা ছিঁড়ে দেয় বা খুলে দেয় তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। এর প্রতিবাদ করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই তাঁদের ওপর লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই হামলা চালানোর ঘটনায় ৬ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ।এদিকে, পাল্টা অভিযোগ করেছে শাসকদল। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আর এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন তৃণমূল কর্মী। এ ব্যাপারে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, নীলপুরে বিজেপি–র কোনও পার্টি অফিসই নেই। সবাই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে বলে ওরা ক্ষুব্ধ। তাই এদিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার শহর সভাপতি শুভম নিয়োগী। বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।