ভ্যাকসিন নেননি টিকাপ্রাপক। অথচ টিকা না নিয়েই মোবাইলে তাঁর শংসাপত্র চলে এসেছে!টিকা শংসাপত্রের বিভ্রাট নিয়ে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন বর্ধমানের এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, ‘দ্বিতীয় ডোজের টিকা না নিয়েই মূল শংসাপত্র কোউইন অ্যাপ থেকে ডাউনলোড করতে পারছেন তিনি।’ কীভাবে, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাবেন, তা নিয়ে আতান্তরে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। ওই শংসাপত্র নিয়েই জেলা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই টিকা প্রাপক। যদিও পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণে এই সমস্যাটি ঘটেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় স্লট বুকিং থাকলে, অনেক সময় এই ধরনের শংসাপত্র চলে আসে।গত ৬ এপ্রিল উত্তম সাহা নামের ওই ব্যক্তি বর্ধমানের ঝুরঝুরে পুল এলাকার বর্ধমান পুরসভার স্থাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজটি নেন। তারপর কোউইন অ্যাপ থেকে প্রথম ডোজের শংসাপত্র ডাউনলোড করেন। তখনই সেখান থেকে তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই ডোজ তাঁকে ২৯ জুন থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে নিতে বলা হয়। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, সইমতো কয়েকদিন আগে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে তিনি স্লট বুকিং করেন। বুকিং স্লটে তিনি জানতে পারেন, তাঁকে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালের অধীন দুর্গাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজ নিতে যেতে হবে।উত্তমবাবু জানিয়েছেন, তিনি ডায়বেটিক রোগী। সেজন্য কো উইন অ্যাপের মাধ্যমে বুকিং বাতিল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই অ্যাপে তিনি তা করতে পারেননি। উত্তমবাবুর দাবি, সেকারণে নির্দিষ্ট দিন অর্থাৎ ৩ জুলাই ভ্যাকসিন নিতে যেতে পারেননি। কিন্তু তার সত্ত্বেও ওই দিনই তার মোবাইলে শংসাপত্র চলে এসেছে। কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে সেটা ডাউনলোডও করা যাচ্ছে। সোমবার তিনি এই বিষয়ে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রুটি সংশোধন করে তাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।