প্রেমের ফাঁদে ফেলে বধূকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে অশ্লীল ভিডিয়ো বানানোর জন্য চাপ। রাজি না হওয়ায় তিন তলা থেকে ফেলে তরুণীকে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নদিয়ার পলাশির। নিহত মাম্পি দেবনাথের পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে টোটোন মালাকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পলাশিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা মাম্পিদেবীর স্বামী পেশায় টোটোচালক। কালীগঞ্জ থানা এলাকার পলাশির টোটোন মালাকারের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না মাম্পির। নদিয়ার পলশুন্ডায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এর পর পলাশিপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। ১৪ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন মাম্পি গুরুতর আহত অবস্থায় শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি। সেখান গিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখেন তরুণীর দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা। মাম্পি পরিজনদের জানান, তাঁকে ৩ তলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এর পর জানা যায় মাম্পির প্রেমিক টোটোনও ওই হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে মাম্পিকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভর্তি করিয়েছিল টোটোন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ শক্তিনগর হাসপাতাল থেকে গায়েব হয়ে যান তরুণী। জানা যায়, টোটোন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে নিয়েছে। এর পর বাড়ি ফেরেন মাম্পি। সেখনে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়।এর পরই প্রেমিক টোটোনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন মাম্পির পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, তরুণীকে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন টোটোন। সেই ভিডিয়ো মোবাইল ফোনে পাওয়া গিয়েছে। এর পর পলাশির ফুলতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তাঁরা। সেখানে মাম্পিকে অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরির জন্য চাপ দিতে থাকেন টোটোন ও তাঁর কয়েকজন বন্ধু। মাম্পি তাতে রাজি না হলে তাকে তিন তলা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতেই গুরুতর আহত হন তরুণী। অভিযোগ পেয়ে প্রেমিক টোটোন মালাকাররে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।