সকলকে কার্যত চমকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বীরভূমে দলের জেলা সভাপতি পদটিই তুলে দিয়েছে! বছরের পর বছর ধরে যে পদে আসীন ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখন বীরভূমে দলের সংগঠন চালানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কর্মসূচি স্থির করবে কোর কমিটি। যার প্রাথমিক সাত সদস্যের মধ্যে অন্যতম হলেন অনুব্রত ও তাঁর 'বিরোধী' হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ। আজ (রবিবার - ১৮ মে, ২০২৫) সেই কোর কমিটির বৈঠকে একইসঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা গেল এই দু'জনকে!
বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদটি তুলে দেওয়ার পর কোর কমিটির বৈঠকে কী হয়, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে তো বটেই, জেলা ও রাজ্য রাজনীতির কারবারিদেরও নজর ছিল। নজর ছিল সংবাদমাধ্যমেরও।
কোর কমিটির প্রাথমিক পর্যায়ের সাতজন সদস্যের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখ ছাড়াও রয়েছেন - চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ, অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী এবং আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জেলার দুই তৃণমূল সাংসদকেও কোর কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। ফলে সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয়েছে নয়।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে অনুব্রত ও কাজল উপস্থিত থাকলেও সাংসদ শতাব্দী রায় ছিলেন না। অনুপস্থিত থেকেছেন চন্দ্রনাথ সিনহাও। এছাড়া, ব্যক্তিগত কাজ থাকায় বৈঠক শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে বেরিয়ে যান সুদীপ্ত ঘোষ। এদিনের এই বৈঠক শুরু হয় বেলা ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ। চলে দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, মোটের উপর বৈঠক ছিল ইতিবাচক। কারণ, বৈঠকে যোগ দেওয়া সকলেই দলীয় বিবাদ সরিয়ে রেখে একসঙ্গে কাজ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডল জেলায় তিনটি বড় মিছিল করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কোর কমিটিও সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে। জানা গিয়েছে, মিছিলগুলি নির্দিষ্ট দিনেই হবে।
অন্যদিকে, কাজল শেখের প্রস্তাব ছিল, এবার থেকে প্রতি মাসে তিনবার করে কোর কমিটির বৈঠক করা হোক। তাঁর সেই প্রস্তাবও মেনে নেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। বোলপুর, রামপুরহাট ও সিউড়িতে বৈঠকগুলি হবে বলে জানা গিয়েছে।