শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কৃতী ছাত্রদের কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ বিজ্ঞানী হতে চায়। কিন্তু মাধ্যমিকে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া সৌম্য পালকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান করলেন সেখানকার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ‘দলবদলু’ বলে হামেশাই কটাক্ষের শিকার হতে হওয়া বিজেপি নেতার এই আহ্বান সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে। তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘মন্ত্রী না হতে পারার হতাশায় দিলীপ ঘোষকে কুকথা বলছেন চরিত্রহীন সৌমিত্র খাঁ’
এবারের মাধ্যমিকে ৭০০-এর মধ্যে ৬৯৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ছাত্র সৌম্য পাল। এই অসাধারণ সাফল্যে শনিবার সৌম্যর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে যান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানে গিয়েই সৌম্য পালকে রাজনীতিতে আসার বার্তা দেন বিজেপি নেতা।
সৌম্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষিত মানুষদের রাজনীতিতে আসা খুবই দরকার। আমি চাই সৌম্য যেন ভবিষ্যতে পড়াশোনা শেষ করে দেশ চালানোর জন্য রাজনীতিতে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের ছাত্ররাই আগামিদিনে দেশ চালাবে। তাই ওদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে রাজনীতির ময়দানে।’ সৌমিত্র নিজের দাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রীর কথাও উল্লেখ করেন, যাঁরা রাজনীতিতে এসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌমিত্র খাঁ জানান, ‘কৃতি ছাত্ররা রাজনীতিতে এলে আমরা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের মতো ভালো নেতা পেতে পারি। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আমার আহ্বান তারা যেন রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে দেশ গঠনে ভূমিকা নেয়।’ আর যে সৌমিত্র এমন বার্তা দিয়েছেন, তিনি নিজে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন বলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের হলফনামায় জানিয়েছেন।
আর সৌমিত্রের এমন আহ্বানের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা সৌমিত্র খাঁয়ের বার্তাকে মূর্খামি এবং শিশু মনে সংঘাত তৈরি করবে বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়টা হল জীবন গড়ার প্রথম ধাপ। আগামিদিনে কৃতী ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানী হতে পারেন, গবেষণার ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন, আইপিএস বা আইএএস অফিসার হতে পারেন। এই ছোট অবস্থাতেই রাজনীতির জায়গাটা নিয়ে গিয়ে তার কৃতিত্ব ছোট করা হয়েছে।’