ফের ধাক্কা বিজেপিতে। বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী উত্তরা বারুরী ও কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকে আজ বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁদের পদ থেকে। রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী উত্তরা বারুরীকে বহিষ্কার করে চিঠি পাঠায়। জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকেও তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রাজ্য সভাপতি চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁকে।অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ প্রমাণিত হবার পর রাজ্য বিজেপির নির্দেশে এই দু’জনকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই, নদীয়ার কল্যাণীতে রানাঘাট সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রত্না ঘোষ কর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, এছাড়া জেলার বিভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কল্যাণী বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা, ব্লক এবং বুথস্তরের দু’হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন বলেই দাবি করেন তৃণমূল সভাপতি।কল্যাণী ঋত্বিক সদনে এই যোগদান সম্পন্ন হয়। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, ‘কল্যাণী বিধানসভার বেশিরভাগ অংশই ওপার বাংলার মানুষের বসবাস। তাঁদেরকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নিঃশর্ত নাগরিকত্বর লোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য–বস্ত্র–বাসস্থান এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তা দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাঁরা।উত্তরা বারুরী বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব ছিলাম। মহিলারা কোন সাংগঠনিক ক্ষমতায় থাকুক তা পছন্দ করে না বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে মহিলারা অবাঞ্চিত অত্যাচারিত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে যেভাবে মানুষের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন তাতে আমি গর্বিত। তাই তাঁর হাত শক্ত করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’