বারুইপুরের ১২৯ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি রাজীব বিশ্বাসের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আর এই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা বাইরের কেউ নন তারা বিজেপি নেতার পরিবারেরই সদস্য। অভিযুক্তরা হলেন মৃতের বাবা নিতাই বিশ্বাস এবং ছোট ভাই সন্দীপ বিশ্বাস। এই ঘটনায় তাঁদের মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘BJP কর্মীকে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ’ বলে অভিযোগ, স্ত্রীর সামনে ময়নাতদন্তের নির্দেশ
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ অগস্ট রাতে রাজীব বিশ্বাসকে তাঁর নিজের বাড়িতে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। অভিযোগ, মারধরের সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। যার ফলে গুরুতর জখম হন তিনি। এরপরও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বাড়িতেই রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। ৯ অগস্ট রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত অবস্থাতেই বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জড়িত। তিনি বলেন, রাজীবকে তারই পরিবারের লোকজন এবং তৃণমূলের সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। মৃতদেহ বাড়িতেই ফেলে রাখা হয় এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বিষয়টিকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বলে উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। পরিবারের সঙ্গে পাড়ার মানুষগুলোর সম্পর্কও খারাপ।