বীরভূমের খাদানে ধসের কারণে প্রাণ হারালেন ৫ শ্রমিক। শুক্রবার দুপুরে নলহাটি থানার বাহাদুরপুর এলাকার পাথর খাদানে আচমকাই ধস নামে। সেই সময় খাদানে কাজ করছিলেন ৯ জন শ্রমিক। প্রত্যেকেই চাপা পড়েন ধসের কারণে। ধসের আওয়াজে আশেপাশের খাদান থেকে ছুটে আসেন অন্যান্য খাদানের শ্রমিকরা। ৯ জনকেই উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। বাকি ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নলহাটি থানার পুলিশ। ঠিক কী কারণে ধস নামল তা এখনও অধরা।
কী বলছেন স্থানীয়রা?
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, দুপুরে খাদানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। হঠাৎই তার একাংশে ধস নামে। আশেপাশের অন্যান্য খাদানের শ্রমিকরা মিলে তাদের উদ্ধার করে। পাঁচজন মৃত ও চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন আহতদের পরিজনরা। আহতদের নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল গাড়িচালক নাজিরুল শেখ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে দুপুর দুটো নাগাদ ফোন আসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে সেখান থেকে চারজনকে নিয়ে আসি হাসপাতালে।’
আরও পড়ুন - যাদবপুরে ছাত্রীমৃত্যুতে পোস্ট ‘বিশেষ বন্ধু’র, ‘নরকের পাপ’ লিখে কীসের ইঙ্গিত?
কীভাবে নামল ধস?
বীরভূমের ওই এলাকায় রয়েছে একাধিক পাথর খাদান। বাহাদুরপুরের ওই খাদানে কীভাবে ধস নামল তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খাদানটি বেআইনি কি না বা সঠিক নিয়ম মেনে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল কি না সেই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শ্রমিকদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে মানা হচ্ছিল কি না তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে স্থানীয়দের তরফে।
আরও পড়ুন - নিত্য আসা-যাওয়া ছিল বঙ্কিম-সুভাষের, এই বাড়ির ৩৫০ বছরের পুজো দক্ষিণের আকর্ষণ
কী বলছে পুলিশ?
বাহাদুরপুর পাথর খাদানে ধসের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠে আসছে স্থানীয়দের তরফে। এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, ‘সবেমাত্র ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা স্থানীয় থানার থেকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। বেআইনি কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।’